জমি বা বাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছেন? তবে এবার রেজিস্ট্রির আগেই এক ক্লিকে জেনে নিতে পারবেন জমির খাজনা বকেয়া রয়েছে কি না এবং কে আসল মালিক। জমি কেনার পর সাধারণত প্রথম যে ধাক্কায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে, তা হল মিউটেশন। তখনই জানা যায়, জমির খাজনা মেটানো হয়নি। কারণ রেজিস্ট্রির সময়ে খাজনা বকেয়ার কোনও প্রভাব না থাকায় অনেক বিক্রেতাই ইচ্ছে করে সেই তথ্য গোপন করেন। ফলে পরে সমস্যায় পড়েন ক্রেতারা।
এই সমস্যা দূর করতেই এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের পোর্টালে গিয়ে জমির খতিয়ান নম্বর সহ প্রয়োজনীয় বিবরণ টাইপ করলেই, জমির খাজনা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনে। এতে শুধু ব্যক্তি নয়, ব্যবসায়িক চাহিদার ক্ষেত্রেও ভূমি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলবে মুহূর্তের মধ্যেই।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে রাজ্যে চালু হয় অনলাইনে খাজনা জমা দেওয়ার পদ্ধতি। তারপর ধাপে ধাপে অফলাইনে জমা নেওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে শুধুমাত্র অনলাইনেই খাজনা জমা নেওয়া হয়। ফলে গত কয়েক বছরে জমা পড়া সমস্ত খাজনার তথ্যই রয়েছে রাজ্য সরকারের ডিজিটাল তথ্যভাণ্ডারে।
যদি কেউ গত এক বা দুই বছর খাজনা না দিয়ে থাকেন, তবে সেই তথ্য সহজেই জানা যাবে পোর্টালে। আর যদি কারও বকেয়া আরও বেশি দিনের হয়, তবে বোঝা যাবে ওই জমির জন্য বহুদিন কোনও খাজনাই জমা পড়েনি। ফলে রেজিস্ট্রির আগে এই তথ্য যাচাই করে ক্রেতারা বিক্রেতাকে স্পষ্ট বলে দিতে পারবেন—“আগে খাজনা মেটান, তারপর টাকা।”
প্রতি বছর রাজ্যে গড়ে ১৭ থেকে ১৮ লক্ষ জমি বা বাড়ির রেজিস্ট্রি হয়। এত বিপুল সংখ্যক ক্রেতার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ, জানাচ্ছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। তাঁদের আশা, এতে একদিকে যেমন জমি রেজিস্ট্রির আগে প্রতারণার সম্ভাবনা কমবে, অন্যদিকে অনলাইনে খাজনা প্রদানের হারও বাড়বে।