মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার আগে নেতাজি ইন্ডোরের সামনে সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে উত্তাল বিক্ষোভ। চাকরিচ্যুত প্রার্থীদের একাংশের অভিযোগ, বৈঠকে যোগদানের ‘পাস’ বণ্টনে স্বচ্ছতা নেই। রাতভর শহিদ মিনারে অবস্থানে থাকার পরও অনেকেই পাস পাননি। তাঁদের ক্ষোভ—যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে অযোগ্যদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বৈঠকে অংশগ্রহণের অনুমতি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, যাঁরা আন্দোলনের মুখ ছিলেন, তাঁরা অনেকেই এই বৈঠকে ডাকা হননি। আবার কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, ‘পাস’ দেওয়া হচ্ছে টাকা নিয়ে। একাংশের বক্তব্য, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ ‘বিক্রি’ হয়ে যাচ্ছে।
রবিবার রাত থেকেই শহিদ মিনারে ভিড় জমাতে শুরু করেন চাকরিহারারা। সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ তাঁরা মিছিল করে পৌঁছন নেতাজি ইন্ডোরের সামনে। অনেকের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের ‘পাস’ থাকলেও, বহুজন তা পাননি।
এদিন সকাল থেকেই পাস না পাওয়া প্রার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে নেতাজি ইন্ডোরের সামনের এলাকা। ‘যোগ্য’-‘অযোগ্য’ বাছাই নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে দাবি করেছেন, ওএমআর শিট দেখে যোগ্যতা নির্ধারণের কথা বলা হলেও, সেই প্রক্রিয়া কতটা ন্যায়সংগত তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি, বৈঠকে যদি কোনও ‘অযোগ্য’ প্রার্থী অংশ নেন, তবে তাঁরা বৈঠক বানচাল করে দেবেন। পুলিশের বড় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে পরিস্থিতি সামাল দিতে। তবু ক্ষোভ প্রশমিত হচ্ছে না।
সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী কিছু প্রার্থী ‘অযোগ্য’ হিসেবে চিহ্নিত হলেও, অধিকাংশ চাকরিচ্যুতদের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত স্পষ্টভাবে ‘যোগ্য’ ও ‘অযোগ্য’ আলাদা করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে বহুজন নিজেদের ‘যোগ্য’ দাবি করে বৈঠকে প্রবেশের দাবিতে সরব হয়েছেন।
চাকরিহারাদের বক্তব্য, এই বৈঠক তাঁদের দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের ফল। অথচ সেই বৈঠকেও যদি বাছাইয়ে অনিয়ম থাকে, তবে তাঁদের আর হারানোর কিছু নেই—বিক্ষোভ আরও জোরদার হবে বলেই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।