২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে আবার সরাসরি সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছতে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্ন থেকে নতুন এক প্রশাসনিক কর্মসূচি ঘোষণা করলেন তিনি। এবার পাড়ায় পাড়ায় বুথভিত্তিক ক্যাম্প করে সরকারি আধিকারিকেরা সরাসরি শুনবেন মানুষের ছোট ছোট সমস্যা। তার পরেই সেই সমস্যা দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে সরকারি স্তরে।
মমতা বলেন, “আমরা অনেক সময় দেখি, কোনও গ্রামে একটা কল নেই, কোথাও রাস্তা নেই, কোথাও আলো দরকার—এই ছোট ছোট সমস্যাগুলির জন্যই শুরু হচ্ছে এই বিশেষ কর্মসূচি।” এই কর্মসূচির জন্য মোট আট হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। গঠিত হবে একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্সও।
কীভাবে চলবে এই উদ্যোগ?
নতুন কর্মসূচির কাঠামো অনুযায়ী:
- প্রতি তিনটি বুথ নিয়ে একটি করে ক্যাম্প সেন্টার তৈরি হবে।
- প্রতিটি বুথ এলাকায় নির্দিষ্ট একটি জায়গায় সাধারণ মানুষ তাঁদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন।
- উপস্থিত থাকবেন সরকারি আধিকারিকেরা, যাঁরা সরাসরি মানুষের কথা শুনে অনলাইনের মাধ্যমে তা নথিভুক্ত করবেন।
- এরপর সেই সমস্যাগুলির গুরুত্ব বিচার করে সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
- পুরো প্রক্রিয়া চলবে স্বচ্ছতা বজায় রেখে ডিজিটাল মাধ্যমে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রতিটি এলাকাতে এক দিন করে বুথ ক্যাম্প হবে এবং সমস্যা শুনে তার দ্রুত সমাধানের চেষ্টা হবে।
‘দুয়ারে সরকার’-এর মতোই সফল হবে নতুন প্রকল্প: আশাবাদী প্রশাসন
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দুয়ারে সরকার যেমন সফল হয়েছিল, ঠিক তেমনই এই নতুন কর্মসূচিও মানুষের পাশে দাঁড়াবে। কেন্দ্র সরকার একশো দিনের কাজ বা আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে, তবুও রাজ্য সরকার নিজের সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভোটের আগে এই কর্মসূচি একদিকে যেমন জনসংযোগ বাড়াবে, তেমনই তৃণমূলের প্রচার কৌশলেও বাড়তি গতি দেবে। পাশাপাশি সরকারি দিক থেকে দাবি, এই কর্মসূচি নিছক ভোটমুখী নয়, বরং সরাসরি সাধারণ মানুষের প্রয়োজন মেটাতে দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের দিকেই এগোচ্ছে রাজ্য।
আরও পড়ুন: ‘ঘর ওয়াপসি’, ফের তৃণমূলে রূপাঞ্জনা মিত্র, বললেন— মনে হচ্ছে স্বর্গে এসেছি!