বর্ধমান: বুধবার সংসদে পেশ হয় ২০২৩-২৪ কেন্দ্রীয় বাজেট। ওই দিন শেয়ার বাজারে ধসের জেরে সরকার পড়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে দাবি করে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, শেয়ার বাজারের ধস আটকাতে বেশ কয়েকজনকে টাকা চেয়ে ফোন করা হয়েছিল। অর্থাৎ, যাদের শেয়ারের দাম কমছিল তাদেরকে টাকা দিতে বলা হয়েছিল ফোন করে।
নতুন করে বলার নয়, আদানি গোষ্ঠীরবিরুদ্ধে কারচুপি এবং জালিয়াতির অভিযোগ ঘিরে উত্তাল শেয়ার বাজার। মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই শেয়ার বাজারে নজিরবিহীন ধাক্কা খেয়েছে আদানি। প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বন্ড। বুধবার আদানি এন্টারপ্রাইজেসের ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন শেয়ার ছাড়ার (এফপিও) প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গিয়েছে।
এ দিন বর্ধমানের সভা থেকে কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে কেন্দ্র বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, বুধবার বাজেট উপস্থাপনের পরে শেয়ার বাজারে ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। তাঁর কথায়, “কাল তো প্রায় সরকার পড়ে যাচ্ছিল। কেন পড়ে যাচ্ছিল? শেয়ার বাজারে ধস নেমেছিল। সেই ধস আটকাতে ৬-৮ জনকে ফোন করে শেয়ার কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা জানি তারা কারা। নামগুলি বলে আর তাঁদের অবস্থা দুর্বিষহ করতে চাই না”।
এখানেই না থেমে মমতা আরও বলেন, “ফোন করে বলেছে, কাউকে ২০ হাজার কোটি টাকা দাও। মানে যাদের শেয়ার পড়ে যাচ্ছিল তাদেরকে দাও। কাউকে বলেছে ৩০ হাজার কোটি টাকা দাও। কাউকে বলেছে ১০ হাজার কোটি টাকা দাও। এই দিয়ে সরকার চলে যদি পরিকল্পনা না থাকে?’’
নিজের মন্তব্যে একটি বারের জন্যও আদানি গোষ্ঠীর নাম উচ্চারণ করেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। অন্য মিডিয়া দিকে, রিপোর্টে প্রকাশ, বিপদ জেনেও আদানিকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন অনেকেই। আমেরিকার এইচএনআই কর্পোরেশন প্রায় চার গুণ বেশি দরে আদানি গোষ্ঠীর এফপিও-তে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে। আবু ধাবির রাজ পরিবারের ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিং কোম্পানি মোটা টাকা বিনিয়োগের কথা জানায়। আবু ধাবির বিভিন্ন পারিবারিক ব্যবসা থেকে আরও ৯ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের কথা জানা যায়। সাহায্য আসে মরিসাস, সিঙ্গাপুর থেকেও। এগিয়ে আসেন ভারতীয় শিল্পপতিদের অনেকেও।
আরও পড়ুন: সংসদে আদানি-বিতর্কের ঝড়! যৌথ সংসদীয় কমিটি, সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্তের দাবি বিরোধীদের