রাজ্যের চিকিৎসকদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হবে এই সভা, যেখানে উপস্থিত থাকবেন সিনিয়র ও জুনিয়র চিকিৎসকরা এবং মেডিক্যাল ছাত্রছাত্রীরা। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই বৈঠকে চিকিৎসকদের পেশাগত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, এত চিকিৎসক সভায় অংশ নিলে সেদিন রোগী পরিষেবা কীভাবে বজায় থাকবে?
রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের কাছে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। তিনি লেখেন, “পুরুলিয়া থেকে আলিপুরদুয়ার— সমস্ত জেলা থেকে চিকিৎসকদের ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে ডাকা হয়েছে। একসঙ্গে ৬৭৫ জন চিকিৎসককে পরিষেবা থেকে সরিয়ে নিলে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা কীভাবে ব্যাহত হবে না?” তিনি আরও অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী এই সভায় চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক ভাষণ দেবেন।
এই সভার আগে রাজ্য সরকার বেশ কিছু প্রস্তুতি নিয়েছে। সরকারি গ্রিভান্স সেলের সদস্যরা বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে চিকিৎসকদের সমস্যা শুনেছেন। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের একটি সংগঠন— ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে তারা সভায় যোগ দেবে না। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, আরজি করের ঘটনার পরেও তাঁদের দাবিদাওয়া এখনও পূরণ হয়নি।
উল্লেখ্য, গত বছর আগস্ট মাসে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হলে এক তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্যে তীব্র আলোড়ন ছড়ায়। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। সেই প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। এখন দেখার, মুখ্যমন্ত্রীর এই সভায় স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু রাখতে কী পরিকল্পনা করে রাজ্য সরকার।