পুজোর আগে দক্ষিণবঙ্গে, পুজোর পরে উত্তরবঙ্গে — দুই প্রান্তেই দুর্যোগের ছায়া ফেলেছিল বর্ষা। তবে এখন সেই দুর্যোগ অনেকটাই কমেছে। তবুও দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে এখনও বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টি চলছে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে আকাশ বেশিরভাগ সময় পরিষ্কার, ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাজ্য থেকে স্বাভাবিক ভাবে বর্ষা বিদায় নেওয়ার কথা ছিল ১০ অক্টোবরের মধ্যে, কিন্তু এ বছর তা এখনও হয়নি। তবে আগামী দু’-তিন দিনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশ থেকে বর্ষা বিদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
শনিবার প্রকাশিত দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ইতিমধ্যেই রক্সৌল, বারাণসী, জবলপুর, আকোলা ও আলিবাগ পর্যন্ত বিদায় নিয়েছে। পরবর্তী ধাপে বর্ষা বিদায় নেবে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও সিকিমের কিছু অংশ থেকে।
এদিকে দক্ষিণ বাংলাদেশের উপর অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত, যার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে রবিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শনিবারের তুলনায় রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে। সোমবার থেকে বৃষ্টি আরও হ্রাস পাবে, সঙ্গে কমবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। তার পর টানা পাঁচদিন রোদ থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমানসহ পশ্চিমাঞ্চলের জেলা থেকে আগামী সপ্তাহেই বর্ষা বিদায় নিতে পারে।
উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি
উত্তরবঙ্গে এখন আর কোনও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আকাশ বেশিরভাগ সময় পরিষ্কার থাকবে, কখনও আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। পার্বত্য এলাকাগুলিতে স্থানীয়ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ সামান্য বৃষ্টি হতে পারে, তবে সেটিও ক্রমশ কমে যাবে।
বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণও কমতে শুরু করবে, ফলে রাজ্যজুড়ে ধীরে ধীরে ফিরবে শুষ্ক ও আরামদায়ক আবহাওয়া।আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে বর্ষা বিদায়ের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে শীতের আগমনের ইঙ্গিত দেবে। শুরু হবে হেমন্ত পর্ব।
আরও পড়ুন: পশ্চিমঘাটে মিলল ৪ নতুন প্রজাতির উদ্ভিদ! কর্নাটকের গবেষকদের যুগান্তকারী আবিষ্কার