বিদায় নিয়েছে বর্ষা! উত্তর থেকে দক্ষিণ— গোটা রাজ্য থেকেই সরে গিয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। শুষ্ক হাওয়া বইতে শুরু করেছে, আর সেই সঙ্গেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে শীতের প্রতীক্ষা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোটা দেশ থেকেই বিদায় নেবে বর্ষা। এরপর থেকেই কার্যত শুরু হবে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাব।
তবে, মৌসুমি বায়ুর বিদায়ের মধ্যেই সপ্তাহান্তে ফের আবহাওয়ার ভোল বদলাতে পারে বলে আশঙ্কা আবহবিদদের। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যের ছয় জেলায়।
আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, দক্ষিণ বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। দক্ষিণ বিহারেও রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। পাশাপাশি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন ভারত মহাসাগরে তৈরি হয়েছে আর এক ঘূর্ণাবর্ত।
সপ্তাহান্তে এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে, যার প্রভাব পড়বে লাক্ষাদ্বীপ, কেরল ও কর্নাটকের উপকূলে। যদিও বাংলায় এর সরাসরি প্রভাব না পড়লেও, দক্ষিণী বাতাস ও পশ্চিমী হাওয়ার সংস্পর্শে ছয় জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর।
কোন কোন জেলায় বৃষ্টি হতে পারে:
- শনিবার — উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা
- রবিবার — ওই দুই জেলার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর
- কলকাতা — শনিবার ও রবিবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা
উত্তরবঙ্গেও একই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। শনিবার থেকে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। পাহাড়ি এলাকায় সকালবেলায় কুয়াশার সম্ভাবনাও রয়েছে।
আপাতত শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে, দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমবে। তবে সপ্তাহান্তে বৃষ্টির পর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা নামতে শুরু করবে বলে জানাচ্ছেন আবহবিদরা।
সব মিলিয়ে, বর্ষা বিদায় নিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তার শেষ ছোঁয়া রেখে যেতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির মাধ্যমে।