বাঘাযতীনে হেলে পড়া বহুতল ভেঙে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে শহরজুড়ে বেআইনি নির্মাণ এবং হেলে পড়া বাড়ি ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নিল নবান্ন। পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের তরফে সম্প্রতি ২২ দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও জলাশয়ের ১৫ মিটারের মধ্যে ১০ মিটার বা তার বেশি উচ্চতার বাড়ি নির্মাণ করতে হলে সয়েল টেস্ট রিপোর্ট বিল্ডিং প্ল্যানের আবেদনের সঙ্গে জমা করা বাধ্যতামূলক। এছাড়া, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার কর্তৃক নির্মাণের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
হেলে পড়া বাড়ির ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম
নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, কোনও হেলে পড়া বাড়ি সোজা করার আগে সংশ্লিষ্ট পুরসভার অনুমোদন নিতে হবে। বাড়ির মালিক বা প্রোমোটার যে সংস্থা নিয়োগ করবেন, তাদের সমস্ত নথি এবং কাজের পরিকল্পনা পুরসভায় জমা দিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে এই কাজ করতে হবে এবং কাজ শেষ হলে স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি রিপোর্ট জমা করতে হবে।
কাজ চলাকালীন দুর্ঘটনা ঘটলে, তার দায় বহন করবেন বাড়ির মালিক বা ডেভেলপার।
অকুপেন্সি সার্টিফিকেটের শর্ত
স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি সার্টিফিকেট পাস না হলে, বাড়ির বাসিন্দারা পানীয় জল এবং নিকাশি সংযোগ পাবেন না।
জলাশয় সংরক্ষণ ও বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযান
পুরসভাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোথাও যেন জলাশয় বা পুকুর ভরাট না হয়। বেআইনি নির্মাণ রুখতে অভিযান চালানোর জন্যও বলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
বাঘাযতীনে বহুতল ভেঙে পড়ার মূল কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জানান, জমির চরিত্র না বুঝে এবং ভিত সঠিকভাবে তৈরি না করায় এই ঘটনা ঘটে। অনুমোদন ছাড়া লিফটিং করাতে গিয়েই বাড়িটি ভেঙে পড়ে।
নবান্নের এই পদক্ষেপ বেআইনি নির্মাণ বন্ধে এবং শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।