Home রাজ্য মুর্শিদাবাদ অবশেষে নশিপুর রেলসেতু দিয়ে চলল ট্রেন, কী সুবিধা হবে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের?

অবশেষে নশিপুর রেলসেতু দিয়ে চলল ট্রেন, কী সুবিধা হবে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের?

0

খবর অনলাইনডেস্ক: বহু দিনের প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে মুর্শিদাবাদের নশিপুর রেলব্রিজ দিয়ে শুরু হল ট্রেন চলাচল। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের আরও কাছাকাছি চলে এল উত্তরবঙ্গ। বড়ো সুবিধা পাবেন নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের বাসিন্দারা।

বুধবার কলকাতা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ট্রেনের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এ ছাড়াও আজিমগঞ্জ স্টেশনে রেলের তরফ থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আজিমগঞ্জ স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে নশিপুর রেলব্রিজের শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। এর পর ২০০৫ সালে মুর্শিদাবাদ থেকে শিয়ালদা সেকশনে সরাসরি যোগাযোগের জন্য রেলব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। তবে আজিমগঞ্জের দিকে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে ছিল জটিলতা। সেই জটিলতা কাটিয়ে ২০২২ সালে পুনরায় সেই কাজ শুরু হয়। চলতি বছরেই রেল লাইনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

কী সুবিধা পেতে চলেছেন যাত্রীরা

মুর্শিদাবাদের জেলার লালবাগ শহরের কাছে নশিপুর এলাকাতে রয়েছে এই ব্রিজ। শিয়ালদা-লালগোলা শাখাকে আজিমগঞ্জ শাখার সঙ্গে যুক্ত করেছে নশিপুর। এই ব্রিজের উপর দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার সময় অনেকটাই কমে যাবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে দু’রকম ভাবে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়া যায় শিয়ালদহ থেকে। প্রথমত বর্ধমান-বোলপুর-রামপুরহাট হয়ে। এই রুটে দার্জিলিং মেল, পদাতিক এক্সপ্রেস-সহ বেশিরভাগ ট্রেন চলে। দ্বিতীয় রুটটি হল নৈহাটি-ব্যান্ডেল-কাটোয়া-আজিমগঞ্জ হয়ে। এই রুটে চলে তিস্তাতোর্সা এক্সপ্রেস।

প্রথম রুটে শিয়ালদহ থেকে নিউজলপাইগুড়ির দূরত্ব ৫৭৩ কিলোমিটার। দ্বিতীয় রুটেও দূরত্ব ৫৭৩ কিলোমিটার। এবার যদি তৃতীয় রুট, অর্থাৎ কৃষ্ণনগর, বহরমপুর হয়ে নশিপুর ব্রিজ পেরিয়ে আজিমগঞ্জ জংশন হয়ে নিউজলপাইগুড়ি ট্রেন চলে তাহলে দূরত্বও ২০ কিলোমিটার মতো কমবে। ফলে এই রুটটাই হবে দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ সংযোগকারী সব থেকে কম দুরত্বের রুট। পাশাপাশি কৃষ্ণনগর, বহরমপুরের বাসিন্দারা সরাসরি নিজেদের শহর থেকেই উত্তরবঙ্গের ট্রেনে উঠতে পারবেন। অন্য পথে নদী পেরিয়ে আজিমগঞ্জ থেকে ট্রেন ধরার কোনো দরকার পড়বে না।

শুধু তা-ই নয়, উত্তর ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ আরও উন্নত হয়ে উঠবে। মালদা যেহেতু খুব কাছে এসে গেল তাই সহজেই সেখানে উত্তর ভারতের ট্রেন ধরা যাবে। তবে আপাতত আজিমগঞ্জ থেকে কৃষ্ণনগর দুটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল করবে নশিপুর ব্রিজের উপর দিয়ে। দুরপাল্লার ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা থাকলেও সেটা কবে হবে, তা অবশ্য জানা যায়নি।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version