বাংলাদেশের চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী এবং বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ-এর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি রবীন্দ্র ঘোষ রবিবার সন্ধ্যায় চিকিৎসার জন্য ভারতে পৌঁছেছেন। বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন আইনজীবীর পরিবারের সদস্যরা। ভারতে ফেরায় তাঁরা কিছুটা স্বস্তিতে।
৭৫ বছর বয়সী এই মুক্তিযোদ্ধা বর্তমানে বারাকপুরে ছেলে রাহুলের সঙ্গে থাকবেন। রাহুল তার স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে বারাকপুরেই বসবাস করেন। চট্টগ্রামে ইস্কন সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন নিয়ে একটি শুনানির সময় ঘোষের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। চট্টগ্রামের ঊনসত্তর পাড়ায় জন্মগ্রহণকারী ঘোষ বর্তমানে ঢাকায় স্ত্রী কৃষ্ণার সঙ্গে থাকেন।
রাহুল ঘোষ বলেন, “আমি সবসময় আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। চট্টগ্রাম আদালতে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর বাবার সঙ্গে কথা বলি। তিনি জানান, চট্টগ্রামে হামলার হুমকির পর পুলিশে অভিযোগ করেছেন। তবে প্রকৃত উদ্বেগের বিষয় হলো, চট্টগ্রামে পুলিশি নিরাপত্তা পেলেও ঢাকায় তিনি কতটা সুরক্ষিত থাকবেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।”
রাহুল আরও জানান, “আমি বাবাকে অনুরোধ করেছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বারাকপুরে থাকার জন্য। তবে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নতুন বছরের আগেই বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার। তিনি বলেন, ‘আমি আমার নীতি ও আদর্শ থেকে সরে আসব না।’”
রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, “আমার মেয়েরা, যাঁরা কানাডায় থাকে, বহুবার আমাদের ওখানে যাওয়ার অনুরোধ করেছে। কিন্তু কেন আমি আমার মাতৃভূমি এবং অত্যাচারিত মানুষদের ছেড়ে যাব? আমি স্থানীয় আইনজীবীদের কাছে চিন্ময় কৃষ্ণের মামলাটি লড়ার অনুরোধ করেছি, কিন্তু কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি। এই বয়সে ঢাকার থেকে চট্টগ্রামে যাতায়াত করা খুব কষ্টসাধ্য। আমরা মামলাটি ঢাকায় স্থানান্তরের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করব।”
পরিবারের সদস্যরাও জানিয়েছেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের হুমকির মুখোমুখি হ্চ্ছেন।