মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্যালাইন-কাণ্ডে ফের মৃত্যু ঘটল। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ মাতৃমা বিভাগে মারা গেল প্রসূতি রেখা সাউয়ের সদ্যোজাত সন্তান। এর আগে, গত শুক্রবার একই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল প্রসূতি মামনি রুইদাসের। রেখা সাউ বর্তমানে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, রেখার সন্তান জন্মের পর থেকেই ভেন্টিলেশনে ছিল। বুধবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, মামনি রুইদাসের সন্তান বিপন্মুক্ত এবং তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে রেখার সন্তানকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সন্তানের মৃত্যুর খবর এখনো রেখাকে জানানো হয়নি বলে জানা গেছে।
রেখার পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ঠাকুমা পুষ্প সাউ জানান, “জন্মের পর একবার দেখানো হয়েছিল। এরপর থেকে সে কাচের ঘরে ছিল। ময়নাতদন্ত শেষে দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে।”
গত ৮ জানুয়ারি সিজ়ারের পর পাঁচজন প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায় এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। অভিযোগ ওঠে, নিম্নমানের ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ স্যালাইন এবং ‘অক্সিটোসিন’ ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। এর পরেই প্রসূতিদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
অসুস্থ পাঁচ প্রসূতির মধ্যে মামনি রুইদাসের মৃত্যু হয়, এবং বাকিদের মধ্যে তিনজনকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর তদন্ত শুরু করেছে। স্যালাইন এবং ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।