Home রাজ্য পশ্চিম মেদিনীপুর বন্যা নিয়ে ‘দেড় মাস পরে’ মাঠে দেব, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কী অবস্থা...

বন্যা নিয়ে ‘দেড় মাস পরে’ মাঠে দেব, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কী অবস্থা জানালেন সাংসদ

বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে ঘাটালে প্রশাসনিক বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ দেব। দাবি, অতিবৃষ্টি ও ডিভিসির জল ছাড়া ঘাটালে বন্যা। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, দেরিতে এলাকা পরিদর্শনে এসে দায় এড়াতে ব্যস্ত সাংসদ।

MP Dev on ghatal master plan

ঘাটাল-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক অঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতির মাঝেই বুধবার প্রশাসনিক বৈঠক করলেন তৃণমূল সাংসদ ও অভিনেতা দেব। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেব জানান, এবারের বন্যা মূলত দুই কারণে হয়েছে—প্রথমত, গত বছরের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি এবং দ্বিতীয়ত, ডিভিসি থেকে বিপুল পরিমাণ জল ছাড়া।

সাংসদের দাবি, “প্রশাসনের তৎপরতায় এখনও পর্যন্ত বড় কোনও অভিযোগ আসেনি। রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঠিকই, তবে সেগুলির দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি, বৃষ্টির মধ্যেই প্রশাসনের কুইক রেসপন্স টিম সাপে কাটা ১২১ জন রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছে, যার ফলে একটি মৃত্যুও ঘটেনি।” তিনি জানান, গর্ভবতী নারীদের নিরাপদে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া, গবাদি পশুদের জন্য সেফ জোন তৈরি এবং কমিউনিটি কিচেন চালু রাখার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তবে এই পরিদর্শন ও বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিজেপির তরফে শুরু হয়েছে কটাক্ষ ও প্রচার-যুদ্ধ। বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটের নেতৃত্বে দেবের বিরুদ্ধে এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে পোস্টার—“দেড় মাস পর কেন এলেন দেব?” এই প্রসঙ্গে সাংসদের জবাব, “আক্রমণ না করলে রাজনীতিতে টিকে থাকা যায় না, সবাই তো দেব হয় না। শীতলবাবু নিজে কতটা সাহায্য করেছেন, সেটাই বড় প্রশ্ন।”

ফি বছর ঘাটালের জল যন্ত্রণা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কে আসে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। এ বারও তার ব্যতিক্রম নয়। দেব জানিয়েছেন, “২০২৪ সালে আমরা কথা দিয়েছিলাম। সেইমতো ৫০০ কোটির অনুমোদন মিলেছে। স্লুইস গেট সংস্কারের কাজ চলছে। জমি অধিগ্রহণের মতো জটিলতাও আমরা কাটিয়ে উঠতে চাইছি।” তিনি আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে নতুন নকশা তৈরি হচ্ছে যাতে ৪০ শতাংশ কম জমি লাগে ও কম বাড়িঘর সরাতে হয়।

দেব বলেন, “ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কোনও রাজনৈতিক দলের প্রকল্প নয়, ঘাটালের মানুষের জন্য। আমরা কারও জমি জোর করে নিতে চাই না। আগামী এক-দু’মাসের মধ্যে নতুন নকশা তৈরির কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।”

এদিকে, এখনও দেড় মাস পার হলেও অনেক এলাকা জলবন্দি। দেবের মন্তব্য, “ঘাটালের বড় বন্যাগুলো সাধারণত সেপ্টেম্বরেই হয়, এখন তো জুলাই। তাই এখনই বলা যাচ্ছে না—এটাই শেষ না শুরু!”

আরও যে খবরগুলো পড়তে পারেন

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version