আলুর অগ্নিমূল্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যেই ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। প্রতিদিনের হেঁশেলে প্রয়োজনীয় এই আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের আলু বাইরে চলে যাওয়া আটকাতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তবে পরিস্থিতি বদলাতে খুব বেশি সাফল্য পাওয়া যায়নি। এদিকে, আলুর অন্য রাজ্যে যাওয়া আটকানোর প্রতিবাদে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। এর ফল নতুন করে আলুর দাম বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আলুর দাম কমানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বড় ব্যবসায়ীরা কোল্ট স্টোরেজে আলু আটকে রাখেন অনেক ক্ষেত্রে। মাসে ৬ লক্ষ মতো আলু লাগে, ছ’মাসে লাগে ৩৬ লক্ষ। আলু বের করুন। এই রাজ্যের বাইরে আলু বিক্রি হচ্ছে কি না, দেখতে হবে। চেক করতে হবে সীমানায়। গতবারও নতুন আলু আসার পরও পুরনো আলু কোল্ট স্টোরেজে ছিল। কেন থাকবে? এতে আলু খারাপও হয়ে যায়। কোনও অজুহাত চলবে না। আলুর দাম কমাতে হবে।’’
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় টাস্ক ফোর্স অভিযান চালায়। তার পরেও শাকসবজির দাম কমেনি বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। এমন পরিস্থিতিতে আলু ব্যবসায়ীদের সংগঠন কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংগঠনের দাবি, আলুর দাম কমানোর উদ্দেশ্যে প্রশাসনের তরফে আলু বোঝাই গাড়ি রাজ্যের সীমানায় আটকে দেওয়া হচ্ছে। শনিবার বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানার ডুবুর ডি চেক পোষ্টে এমনই ঘটনা ঘটে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অন্যতম পাণ্ডা এবং দুই ‘সল্ভার’ এমবিবিএস ছাত্রকে গ্রেফতার করল সিবিআই
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের এমন পদক্ষেপের ফলে ব্যবসায়ীরা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া এর সমাধান সম্ভব নয়।”
এই কর্মবিরতির ফলে আলুর জোগানে ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা সাধারণ মানুষের উপর প্রভাব ফেলবে। আলুর দাম আরও বাড়তে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর দাম কেজি প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত হিমঘরে মজুত থাকা আলু বিক্রি হবে। ফলে আলুর জোগানে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।