কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং প্রাক্তন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের কথোপকথন ও ফোন রেকর্ডিং তদন্তে নয়া মোড়।
তদন্তে সিবিআই জানতে পেরেছে যে, সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল একাধিকবার ফোনে কথা বলেছেন এবং তাঁদের ফোন থেকে বেশ কিছু কল ডিটেলস মুছে ফেলা হয়েছিল। সিবিআই গোয়েন্দাদের ধারণা, এর পিছনে বড়সড় ষড়যন্ত্র থাকতে পারে এবং এই তথ্যগুলো চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ, ফরেনসিক রিপোর্টে মুছে ফেলা রেকর্ডিং পুনরুদ্ধার করা হয়েছে এবং এই তথ্য থেকে উঠে এসেছে বেশ কিছু সন্দেহজনক ফোন নম্বর ও ভিডিও। এমনকি ঘটনাস্থলের ভিডিও রেকর্ডিংও পাওয়া গেছে, যা আরও প্রমাণ দিচ্ছে যে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল।
বারবার অভিযোগ উঠেছে আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। দুর্নীতির অভিযোগ সন্দীপ ঘোষকে প্রথমে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর এই গোটা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার পিছনে তাঁর হাত আছে বলে তথ্য পায় সিবিআই। আর সেই মামলাতেই সন্দীপ ঘোষ এবং প্রাক্তন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়।
সিবিআই আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অভিজিৎ মণ্ডলের ফোনে অটো কল রেকর্ডিং মোড অন থাকায় সমস্ত কল রেকর্ডিং হয়। আরজি কর হাসপাতালে ঘটনার দিন ফোন করে টালা থানার প্রাক্তন ওসিকে বারবার নানা নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ। পরে সে সব কথা মুছে ফেলা হয়। এরপর ফরেনসিক পরীক্ষা করতেই পুরো বিষয় সামনে আসে।
সূত্রের খবর, এই সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে যে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের বিষয় মিলেছে সেগুলি চার্জশিটে এখন উল্লেখ করা হচ্ছে। এই সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তের গতিপ্রকৃতি আগামী দিনে কোন দিকে মোড় নেবে, তার দিকে তাকিয়ে সকলেই।
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের তিন মাস পূর্তিতে আজ ফের কলকাতায় ‘রাজপথ দখল’