আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে আন্দোলনকারীদের দীর্ঘস্থায়ী দাবির ফলস্বরূপ, রাজ্য সরকার বুধবার হাসপাতালের চার শীর্ষ আধিকারিককে সরানোর নির্দেশ জারি করেছে। পাশাপাশি, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকেও সরানো হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে। এই সিদ্ধান্তের কথা বুধবার রাতে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। তবে, আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন যে তারা কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবেন যতক্ষণ না তাদের সব দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে এবং লিখিত নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছবেন না।
আন্দোলনের কেন্দ্রে ছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তাঁর আমলেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটে। সন্দীপ ঘোষ ইস্তফা দিলেও তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে বসানো হয়, যা নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীরা দাবী করেন যে, যাঁর নেতৃত্বে এমন এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, তাঁকে উল্টে ‘পুরস্কৃত’ করা হয়েছে। আন্দোলনের চাপেই শেষ পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদ থেকেও সরানো হয়েছে।
স্বাস্থ্যভবনের বৈঠকেও রফাসূত্র অধরা, আন্দোলনে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা
এই সিদ্ধান্তের পাশাপাশি, আরজি করের অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল, সুপার বুলবুল মুখোপাধ্যায় এবং অন্যান্য দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকেও পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যদিও রাজ্য সরকার আন্দোলনকারীদের কিছু দাবি মেনে নিয়েছে, তবু আন্দোলনকারীরা সম্পূর্ণভাবে সন্তুষ্ট নন। তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, সন্দীপ ঘোষকে যেন ভবিষ্যতে কোনও প্রশাসনিক পদে নিযুক্ত না করা হয়। যতক্ষণ না তাদের দাবিগুলি পূর্ণমাত্রায় মানা হচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে বলেই জানিয়েছেন তারা।