শিয়ালদহ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য কি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে? বুধবার এই প্রশ্ন তুলে দিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। রাজ্যের এই আবেদন গ্রহণযোগ্য কি না, তা নিয়ে আগামী সোমবার শুনানি হবে হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে।
সিবিআইয়ের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল রাজদীপ মজুমদার দাবি করেন, রাজ্য এই মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করতে পারে না, কারণ সিবিআই ইতিমধ্যেই এই দাবিতে আদালতে আবেদন করেছে। তাঁর মতে, নির্যাতিতার পরিবার, সিবিআই কিংবা দোষী কেউ হাই কোর্টের দ্বারস্থ না হলে রাজ্যের এমন আবেদন করার বৈধতা নেই। তিনি লালুপ্রসাদ যাদবের মামলার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, সেসময় রাজ্যের আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়নি।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এবং সরকারি আইনজীবী দেবাশিস রায় সিবিআইয়ের যুক্তির বিরোধিতা করেন। তাঁরা জানান, সিআরপিসি ৩৭৭ এবং ৩৭৮ ধারার আওতায় রাজ্যের আবেদন বৈধ। অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, তদন্ত এবং আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়, এবং আরজি কর-কাণ্ডে প্রাথমিক তদন্ত রাজ্যের পুলিশের অধীনেই হয়েছিল।
বিচারপতি বসাক এজলাসে দোষী সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী জানান, তিনি এই মামলায় সঞ্জয়ের পক্ষ থেকে লড়তে চান। বিচারপতি বসাক নির্দেশ দেন, ভার্চুয়াল মাধ্যমে সঞ্জয়ের সঙ্গে আইনজীবীকে দেখা করতে দিতে হবে এবং ওকালতনামায় স্বাক্ষর করার অনুমতি দিতে হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার শিয়ালদহ আদালত আরজি কর-কাণ্ডে দোষী সঞ্জয়ের আমৃত্যু কারাবাসের শাস্তি ঘোষণা করে। বিচারক অনির্বাণ দাস জানান, ঘটনাটি ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ হিসেবে বিবেচিত নয়। এই রায়ের বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দোষীর ফাঁসির দাবি জানান এবং জানান, হাই কোর্টে রাজ্য এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করবে।
মঙ্গলবারই রাজ্য মামলা দায়েরের অনুমতি পায় এবং বুধবার শুনানি শুরু হয়। আগামী সোমবার রাজ্যের আবেদন গ্রহণযোগ্য কি না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে হাই কোর্ট।