উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া সীমান্তে পুলিশের গুলিতে নিহত হলেন গোয়ালপোখরের গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাজ্জাক আলম। শনিবার সকালে বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করার সময় তাঁকে আটকাতে গিয়ে গুলি চালায় পুলিশ। পুলিশের দাবি, গায়ে তিনটি গুলি লেগে ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হন সাজ্জাক। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাঁ কাঁধ, পিঠ এবং পায়ে গুলি লেগেছিল সাজ্জাকের। সকাল ৮টা ৫ মিনিট নাগাদ তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সাজ্জাক বিচারাধীন খুনের আসামি ছিলেন। গত বুধবার উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর আদালত চত্বর থেকে পুলিশকর্মীদের গুলি চালিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
গত বুধবার আদালতে হাজিরার পর সাজ্জাককে জেলে ফেরানোর পথে ঘটে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। দুই পুলিশকর্মীকে গুলি করে তিনি পালিয়ে যান। এই ঘটনায় পুলিশ প্রশ্নের মুখে পড়ে—বিচারাধীন বন্দি কীভাবে পিস্তল পেলেন।
পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ঘটনায় কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘পুলিশের উপর গুলি চালানোর জবাব চার গুলি চালিয়েই দেওয়া হবে।’’ এরপর থেকেই সাজ্জাককে ধরতে উত্তর দিনাজপুর পুলিশ সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাঁর সন্ধান দিতে পারলে ২ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার ভোরে চোপড়া সীমান্তে পৌঁছায় পুলিশ। সেখান থেকে সাজ্জাককে গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হয়। পালানোর চেষ্টার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। পুলিশের দাবি, বাংলাদেশে পালানোর পরিকল্পনা করছিলেন সাজ্জাক।
তাঁর সঙ্গী আব্দুল, যিনি পালাতে সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ, এখনও পলাতক। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তকে খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা চলছে।