আরও বড় এক ধাক্কা খেলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল সন্দীপ ঘোষের চিকিৎসক রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে। ফলে এখন তিনি আর ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না এবং কোনোরকম প্রেসক্রিপশনও লিখতে পারবেন না।
গত বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সন্দীপ ঘোষ বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন, আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি, খুন এবং ধর্ষণের প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে। এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই, এবং এরই মধ্যে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হল।
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্দীপকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই নোটিসের সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হন। সেই কারণেই তাঁর নাম চিকিৎসক রেজিস্ট্রার থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন, এই ঘটনার পর থেকেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সরব হন। শান্তনু সেনের স্ত্রী-কন্যাকেও আরজি করের আন্দোলনকারীদের সমর্থনে দেখা গিয়েছিল। তিনি কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায়কে চিঠি লিখে, ‘ব্যক্তিগত সম্পর্ক’ ভুলে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে এক চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়, যিনি খুন ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। তদন্তের ধারাবাহিকতায় সন্দীপ ঘোষকে গত ২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপর থেকেই তিনি সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল জানিয়েছে, কোনও চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বাতিল করতে হলে আইন অনুযায়ী তাঁকে অপরাধের প্রমাণ বা জনসমাজে তাঁর বদনাম হওয়ার মতো পরিস্থিতি হতে হবে। সন্দীপ ঘোষের ক্ষেত্রে সেই শর্ত পূরণ হয়েছে বলেই তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে।