Home রাজ্য শিলিগুড়ি শিলিগুড়িতে মিটল জল সঙ্কট, জানালেন মেয়র, নদী দূষণমুক্ত করতেও পরিকল্পনা

শিলিগুড়িতে মিটল জল সঙ্কট, জানালেন মেয়র, নদী দূষণমুক্ত করতেও পরিকল্পনা

গৌতম দেব
গৌতম দেব

শিলিগুড়ি: দীর্ঘ জল সঙ্কটের পর রবিবার বিকেল থেকে শিলিগুড়ি শহরে পুনরায় বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ শুরু হয়েছে। শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব এদিন দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা করেন।

জানা গিয়েছে, শনিবার থেকেই তিস্তা সেচ ক্যানালে জল ছেড়েছে সেচ দফতর। ইতিমধ্যে ফুলবাড়িতে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে জল উত্তোলন শুরু হয়েছে। সেখান থেকেই আজ বিকেল থেকে শিলিগুড়ি শহরে পানীয় জল সরবরাহ করা হবে।

আগের জল সঙ্কট

গত ২৯ মে, বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে মেয়র শহরবাসীকে পুরনিগমের জল পান করতে নিষেধ করেছিলেন। তিনি জানান, মহানন্দা নদীর জলের মান খারাপ হয়ে যাওয়ায় সেই জল পান করা উচিত নয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে, পুরনিগম শহরবাসীর জন্য ২৬টি জলের ট্যাংক ও পাউচের ব্যবস্থা করে, কিন্তু তা পর্যাপ্ত ছিল না। ফলে শহরবাসী জল সংকটে ভুগছিলেন। কিছু এলাকায় পুরনিগমের ট্যাংকের জল ঘোলা হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এবং কিছু জায়গায় অপর্যাপ্ত জলের পাউচ সরবরাহের অভিযোগ তোলা হয়।

সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ

রবিবার পুরসভার কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে মেয়র গৌতম দেব জানান, এদিন থেকে শহরবাসী পুনরায় বিশুদ্ধ পানীয় জল পাবেন। তিনি বলেন, “জরুরি পরিস্থিতিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরসভার ৪৭ জন কাউন্সিলর-সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই জল সংকটের জন্য মানুষের যে কষ্ট হয়েছে, এর দায় আমরা নিচ্ছি।”

নদী দূষণমুক্ত করার পরিকল্পনা

মেয়র জানান, জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও সেচ দফতরের বৈঠক হয়েছে। তিস্তা থেকে জল উত্তোলন করে তা পরিস্রুত করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। পরিশোধিত জল এখন পানের যোগ্য। তিনি আরও জানান, মহানন্দা, জোড়াপানি, ফুলেশ্বরী ও সাহু নদীগুলিকে দূষণমুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে নদী সংস্কারের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এবং নদী থেকে মাটি তোলার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও, নদীকে দূষণমুক্ত করতে খাটাল সরানোর কাজ এবং কমিউনিটি শৌচাগার তৈরি হবে।

বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া

মেয়রের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ জানান, “জল চালু হলেও এখানেও বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে। জলের গুণগত মান কেমন, বিওডি-র পরিমাণ ঠিক রয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ অনেকেই প্রকাশ করছেন। আশা রাখি, মেয়র সাহেব পরিশুদ্ধ জলই মানুষকে পান করাচ্ছেন। যদি কোথাও দুর্বলতা থেকে থাকে, সেটা দূর করার জন্যেও যেন মেয়র সাহেব উদ্যোগী হন। তবে আমরা অবশ্যই আদালতে যাব। যে গাফিলতির নজির তৈরি হয়েছে, তা মানা যায় না।”

আরও পড়ুন

স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে জেলে ফিরছি’, তিহাড়ে যাওয়ার আগে কর্মীদের বার্তা কেজরির

বিধানসভায় অরুণাচলে বিজেপির স্বস্তির জয়, সিকিমে জিতল শাসকদলই

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version