উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন: ঘূর্ণিঝড় দানা নিয়ে উদ্বেগে সুন্দরবন ও উপকূলবর্তী এলাকার মানুষ। বুধবার সকাল থেকে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনিক বৈঠক, মাইকিং প্রচার, এবং ফ্লাড সেন্টারে মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তর আন্দামান সাগরে ঘূর্ণিঝড় দানা নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং এটি পুরী ও বকখালি উপকূল থেকে ৫৫২ কিমি দূরে অবস্থান করছে। সম্ভাব্য ল্যান্ডফল পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলে হতে পারে। ইতিমধ্যে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে এবং প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে।
সকালে ফ্রেজারগঞ্জ ও ঝড়খালি কোস্টাল থানার উদ্যোগে মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। কাকদ্বীপ মহাকুমা শাসকের অফিসে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরার উপস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সুন্দরবনের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলিতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই ৭৬টি ভাঙন কবলিত এলাকা চিহ্নিত করে নদী বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছে। রাজ্যের সেচ দফতর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধ মেরামতের কাজ করছে। পাশাপাশি, মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে।
সাগর, নামখানা, কাকদ্বীপ, এবং গোসাবা এলাকায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ত্রাণ শিবির ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ঘোড়ামারা ও পাথরপ্রতিমা সহ নিচু এলাকা থেকে মানুষকে সরানোর কাজ চলছে। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী নিজে পরিদর্শন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিস্থিতি মনিটর করছেন।