কলকাতা: অবশেষে গ্রেফতার নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘মিডলম্যান’ হিসেবে কাজ করার জন্য অভিযুক্ত বাগদার ‘রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডল। নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআইয়ের আধিকারিকরা তাঁকে গ্রেফতার করে শুক্রবার আলিপুর আদালতে তুলেছেন।
২০২১ সালে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের বর্ণনায় বাগদার রঞ্জনের কথা উঠে আসে। তিনি ‘সৎ রঞ্জন’ নাম ব্যবহার করে প্রথম চন্দনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সামনে আনেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে ওই অভিযোগ সামনে এনেছিলেন তিনি। টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকী তাঁর সততার প্রশংসা করে প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, চাকরি না দিতে পারলে টাকা ফেরত দিয়েছেন তিনি। এর পরই আদালতে ওঠে বিষয়টি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চন্দনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।
হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চন্দনের বিরুদ্ধে এফআইআর করে সিবিআই। শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করল।
মূলত তিনি মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতেন বলে অভিযোগ। একাধিকবার তাঁকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন গোয়েন্দারা। কিন্তু তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগে অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করলেন তদন্তকারীরা। শুক্রবারই তাঁকে আলিপুর আদালতে পেশ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এদিন আদালতে চন্দনকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে সিবিআই।
গোয়েন্দারা মনে করছেন, নিয়োগ দুর্নীতির যে চক্র, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই রঞ্জনের। এই মামলায় তদন্তকারী সংস্থার যাঁদের বয়ান নিয়েছেন, তাঁদের অনেকের মুখেও তাঁবড় নাম শোনা গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন চন্দন।
আরও পড়ুন: ৬০ ঘণ্টার ‘সমীক্ষা’ শেষে অফিস ছাড়লেন আয়কর কর্তারা, বিবৃতি বিবিসি-র