উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর : বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলছে। অনেকেই বলেন, এই সব রোগী মিষ্টি খুব ভালোবাসেন। আর তাদের কথা ভেবেই এবার জয়নগরে তৈরি হল সুগার ফ্রি মোয়া।
শীতকাল মানে বাঙালির কাছে জয়নগরের মোয়ার অনন্য স্বাদ। এই মোয়া অন্তত বার কয়েক চেখে না দেখলে বছরটাই যেন বৃথা। কিন্তু এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতে কমবেশি ডায়াবেটিসের আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। তাই বলে কি এই শীতের লোভনীয় জয়নগরের মোয়া খেতে পারবেন না তাঁরা!
মোটেও না! তাদের কথা মাথায় রেখে জয়নগরে মিলছে নো অ্যাডেড সুগার অর্থাৎ সুগার ফ্রি মোয়া। আসল মোয়ার স্বাদ ও গন্ধ যে অতুলনীয় তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু ডাইবেটিস বা সুগারে আক্রান্ত রোগীরা এই মিষ্টি মোয়ার অতুলনীয় স্বাদ থেকে বঞ্চিত হন। সেই আক্ষেপ আর নেই। কারণ এবার বাজারে এসেছে সুগার ফ্রি মোয়া।
মানুষ এখন অনেক স্বাস্থ্য সচেতন। ফলে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মোয়ার গুণগত মান যেমন ঠিক রাখার উদ্যোগ নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা,পাশাপাশি ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষজনও যাতে এই মোয়া খেতে পারেন তাঁদের জন্য সুগার ফ্রী মোয়া তৈরির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।মোয়া প্রস্তুতকারকরা এই জয়নগরের মোয়ার স্বাদ হুবহু বজায় রেখেই তৈরি করেছেন এই সুগার ফ্রি মোয়া।
সুগার ফ্রি মোয়ার বাজারে আসার খবর ইতিমধ্যেই বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে।আর এই শীতকালীন মিষ্টির স্বাদ আস্বাদন করতে পারবেন জেনে খুশি খাদ্যপ্রেমীরা। তবে একাংশের মনে সন্দেহ থাকছেই। সেই স্বাদ, সেই গন্ধ মিলবে তো সুগার ফ্রী মোয়ায়!
এ ব্যাপারে মোয়া নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরিক্ষা নিয়ে ব্যস্ত সাইনটিস্ট দেবশ্রী দে বলেন,এই সুগার ফ্রি মোয়ার টেস্ট করার জন্য বেসরকারি উদ্যোগে জয়নগরে তৈরি করা হয়েছে একটি পরীক্ষাগার।যেখান থেকে মোয়া সুগার ফ্রী হলো কিনা তা পরীক্ষা করা হচছে।পাশাপাশি মোয়ার গুণগত মান,মোয়ার আয়ু ও নির্ধারন করা হচ্ছে। তাই চোখ বুজিয়ে সুগার ফ্রী মোয়া জয়নগরে খোকন দাসের কাছ থেকে পেয়ে যাবেন।
এব্যাপারে জয়নগরের মোয়া ব্যবসায়ী খোকন দাস বলেন, “সুগার ফ্রি মোয়ার ভালো বাজার পাচ্ছি। দিন দিন সুগার ফ্রি মোয়ার চাহিদা ও বাড়ছে। আর ডায়াবেটিস মানুষদের মোয়ার স্বাদ তুলে দিতে পেরে আমরা খুশি”।