পকসো মামলায় দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় নামে বসিরহাট আদালতের অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি)-কে কড়া ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ওই সরকারি আইনজীবীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তিনি এক পকসো মামলায় সওয়ালে অংশ নেননি, যার ফলে অভিযুক্ত জামিন পেয়ে যায়। বিচারপতির কড়া প্রশ্ন, “সংবিধানের ধারা কি শুধু দোষীদের রক্ষাকবচ দিতে? নির্যাতিতার কী হবে?”
বিচারপতি বসাক বলেন, “ওঁকে রাখা যাবে না এপিপি হিসেবে। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না।” বিচারক আরও বলেন, “বসিরহাট আদালত চত্বরে নতুন আদালত তৈরি করার ভাবনা চলছে আর এদিকে এমন এপিপি কোর্টে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।”
এদিকে, বর্ষীয়ান আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র সরকারি আইনজীবীর হয়ে আদালতের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আবেদন করেন। তবে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “নির্যাতিত শিশু উপযুক্ত বিচারপ্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমাদেরও কোথাও জবাবদিহি করতে হয়।”
এই মামলার সূত্রপাত বসিরহাট আদালতে এক অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জাজকে হেনস্থার অভিযোগ থেকে। হাইকোর্ট সেই ঘটনার ভিডিও দেখে সরকারি আইনজীবী-সহ ২১ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় আদালত অবমাননার রুল জারি করেছে। ১৭ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে, যেখানে অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলফনামা জমা দেবেন।
