গঙ্গাসাগর: আশঙ্কা ছিল এ বছর প্রয়াগরাজে পূর্ণকুম্ভমেলা থাকার দরুন গঙ্গাসাগর মেলায় মকর সংক্রান্তির দিন পুণ্যস্নানে ভিড় কম হবে। কিন্তু মঙ্গলবার তার কোনও লক্ষণ দেখা গেল না। এ দিন ভোর থেকেই সাগরসঙ্গমে পুণ্যস্নানে পুণ্যার্থীদের ঢল নামে।
মঙ্গলবার পুণ্যস্নানের দিন হলেও বাংলা তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা গঙ্গাসাগর মেলায় ভিড় জমাতে শুরু করেছেন কয়েক দিন আগে থেকেই। মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট থেকেই শুরু হয়ে যায় পুণ্যস্নান। স্নান চলে বুধবার ভোরে সূর্যোদয় পর্যন্ত। প্রশাসন জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৫৫ লক্ষ মানুষ গঙ্গাসাগর মেলায় এসেছেন। পুণ্যস্নানের জন্য রবিবার থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাগরদ্বীপে ভিড় জমাতে শুরু করেন তীর্থযাত্রীরা।
এ বছর গঙ্গাসাগর মেলায় রাজ্য সরকারি প্রশাসন খুবই তৎপর। মেলায় পর্যাপ্ত চিকিৎসক, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স, ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স এবং প্যারামেডিক্যাল কর্মীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলাপ্রাঙ্গণ থেকে নিরুদ্দেশ সংক্রান্ত ঘোষণা হচ্ছে বাংলা, হিন্দি, ওড়িয়া, ইংরেজি, তামিল, তেলুগু, মরাঠি ভাষায়। জলপথে ১০০টি লঞ্চ, ৩২টি ভেসেল, ন’টি বার্জ থাকছে। এ জন্য বিভিন্ন জায়গায় ১২টি অস্থায়ী জেটিও তৈরি করা হয়েছে। আর জেটি থেকে মেলাপ্রাঙ্গণে আসার জন্য দু’হাজারেরও বেশি বাস রয়েছে রাস্তায়।
এ বার গঙ্গাসাগরে স্নান করলে প্রশাসনের তরফ থেকে পুণ্যার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে! এই সার্টিফিকেট নাম করা হয়েছে ‘বন্ধন’। বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় লেখা এই সার্টিফিকেট বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।

কপিলমুনি মন্দিরে দর্শনার্থীদের ভিড়।
কপিলমুনি মন্দিরে ভক্তদের প্রসাদ বণ্টন।
সাধুর কেরামতি। গঙ্গাসাগর সঙ্গমে।
কপিলমুনি মন্দিরে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
ছবি: রাজীব বসু