শনিবার রাজ্যের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের রাজভবনে ডেকেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে ডাকে সাড়া দেননি অনেকেই। ফলে কড়া মনোভাবে রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে খবর, যারা উপস্থিত ছিলেন না, তাদের কাছে চাওয়া হয়েছে লিখিত ব্যাখ্যা। রাজ্যপালের তরফে পরিষ্কার বার্তা— সন্তোষজনক কারণ না জানাতে পারলে তাঁদের রাজভবনে প্রবেশ ‘চিরতরে বন্ধ’ করা হতে পারে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, রাজ্যের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও, উপস্থিতি ছিল আংশিক। ৭ জন রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্য উপস্থিত ছিলেন। ১৯ জন স্থায়ী উপাচার্যের মধ্যে হাজির ছিলেন শুধু বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ও পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। বাকিরা গরহাজির।
এ বিষয়ে অনেকেই প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শঙ্কর নাথ বলেন, ‘‘শুক্রবার থেকে ছাত্রছাত্রীরা আমায় ঘেরাও করে রেখেছে। তাই বৈঠকে থাকতে পারিনি আমি।’’ যদিও একটি সূত্র দাবি করেছে, তাঁদের উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এই বৈঠকের সময় ও উদ্দেশ্য যদিও প্রকাশ্যে আনা হয়নি, তবুও শিক্ষা মহলের মতে, সোমবার হাই কোর্টে ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানির আগে এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
সূত্র অনুযায়ী, বৈঠকে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে দ্রুত নিয়ম মেনে কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে, শিক্ষকদের পদোন্নতি প্রক্রিয়া যেন আটকে না থাকে, সেদিকে আইনি নজর দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
সব মিলিয়ে, রাজ্যপালের এই পদক্ষেপে ফের একবার রাজ্য ও রাজভবনের সংঘাতের আঁচ দেখতে পাচ্ছেন অনেকেই। বিশেষত, উপাচার্যরা কার অধীনে কাজ করবেন— রাজ্য সরকারের না রাজ্যপালের, সেই প্রশ্ন নিয়ে রাজ্যপাল এবার সুপ্রিম কোর্টেও যেতে পারেন বলে খবর।
আরও পড়ুন: এ বার বদলাতে চলেছে রাজ্যের সিইও-র ঠিকানাও! মুখ্যসচিবকে চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন