Homeখবররাজ্যডিএ মামলায় আরও ছ’মাস সময় চাইল রাজ্য, সুপ্রিম কোর্টে আর্থিক সংকটের যুক্তি

ডিএ মামলায় আরও ছ’মাস সময় চাইল রাজ্য, সুপ্রিম কোর্টে আর্থিক সংকটের যুক্তি

প্রকাশিত

রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মেটাতে এবার সুপ্রিম কোর্টের কাছে আরও ছ’মাস সময় চাইল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শুক্রবার শেষ হয়েছে আদালতের নির্ধারিত ছয় সপ্তাহের সময়সীমা। তার আগেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়ে রাজ্য দাবি করেছে, বর্তমানে তারা আর্থিক সংকটে রয়েছে। তাই বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মেটানোর জন্য আরও সময় প্রয়োজন।

১৬ মে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সময়ের বকেয়া ডিএ-র অন্তত ২৫ শতাংশ আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে মেটাতে হবে। সেই সময়সীমা ছিল ২৭ জুন পর্যন্ত।

শুক্রবার রাজ্যের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছে, কেন তারা এই মুহূর্তে কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ দিতে পারছে না।

রাজ্যের যুক্তি:
১. লক্ষ লক্ষ কর্মচারীকে বকেয়া ডিএ দিতে গেলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। এই অর্থ ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটে বরাদ্দ নেই। প্রয়োজন হলে ঋণ নিতে হবে, যার জন্য কেন্দ্রের অনুমতি দরকার।
২. ডিএ বাধ্যতামূলক নয়, এটি মৌলিক অধিকার নয়।
৩. রাজ্যের নিজস্ব নিয়ম রয়েছে (আরওপিএ ২০০৯), যেখানে ডিএ বৃদ্ধির হার রাজ্যই ঠিক করে।
৪. কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান কমে যাওয়ায় আর্থিক চাপ বেড়েছে।
৫. জিএসটি বাবদ কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রায় ১.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
৬. শুধু সরকারি কর্মচারী নয়, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মীদেরও ডিএ দিতে হয়।
৭. পেনশন, স্বাস্থ্য প্রকল্প, এলটিসি-সহ অন্যান্য সুবিধাও রাজ্য দেয়, যা দেশের অন্য অনেক রাজ্যে নেই।

রাজ্যের দাবি, কর্মীদের ছুটির সুবিধা এবং অন্যান্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ডিএ-র ঘাটতি কিছুটা হলেও পূরণ করছে।

প্রসঙ্গত, এই মামলার পরবর্তী শুনানি অগস্ট মাসে হওয়ার কথা।

আরও পড়ুন: ওবিসিদের আবেদনেও ছাড় নয়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করল এসএসসি

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘বিতর্কিত মানচিত্র’ উপহার দিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে অস্বস্তি সৃষ্টি করলেন মুহাম্মদ ইউনূস

ঢাকা: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস আবার কূটনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে। এবার তিনি পাকিস্তানি সেনার...

বাংলা-সহ ১২ রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে এসআইআর, ভোটার তালিকা সংশোধন শুরু ৪ নভেম্বর থেকে

দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)। বাংলায় এনুমেরেশন ফর্ম বিতরণ শুরু হবে ৪ নভেম্বর থেকে, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

১০০ দিনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র, বহাল হাই কোর্টের নির্দেশ

১০০ দিনের কাজ বন্ধ রাখায় কেন্দ্রকে তীব্র ধাক্কা। সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল। ফলে চার বছর পর রাজ্যে ফের শুরু হবে ১০০ দিনের কাজ, মজুরি মঞ্জুর করতে হবে কেন্দ্রকে।

এসআইআরের আগে রাজ্যে বড়সড় প্রশাসনিক রদবদল, বদলি ১০ জেলাশাসক-সহ ১৭ আমলা

এসআইআর শুরুর আগেই রাজ্যে প্রশাসনিক রদবদল। বদলি ১০ জেলাশাসক ও একাধিক এডিএম। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংবেদনশীল জেলাগুলিতে বিশেষ নজর। বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা।

আরও পড়ুন

এসআইআরের আগে রাজ্যে বড়সড় প্রশাসনিক রদবদল, বদলি ১০ জেলাশাসক-সহ ১৭ আমলা

এসআইআর শুরুর আগেই রাজ্যে প্রশাসনিক রদবদল। বদলি ১০ জেলাশাসক ও একাধিক এডিএম। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংবেদনশীল জেলাগুলিতে বিশেষ নজর। বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা।

বুথভিত্তিক তুলনায় মিল মাত্র ৫৫%! এসআইআরে নাম কাটা যেতে পারে প্রায় ১ কোটি ভোটারের

২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে বর্তমান তালিকার মিল মাত্র ৫৫ শতাংশ। এসআইআরের পর প্রায় ১ কোটি ভোটারের নাম বাদ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা নির্বাচন কমিশনের। জল্পনা ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সোনালী সহ ৬ জনকে বাংলাদেশে থেকে ফেরানো নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে সুনালি খাতুন ও আরও পাঁচজনকে বাংলাদেশ থেকে ফেরানোর নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে কেন্দ্র। গর্ভবতী সুনালি ও দুই শিশুসন্তানসহ পরিবারের দুরবস্থা নিয়ে আলোড়ন।