নির্দিষ্ট একটি এলাকায় জমি-বাড়ির ন্যূনতম মূল্যকেই বলা হয় সার্কল রেট। এর ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয় সম্পত্তি কেনাবেচার রেজিস্ট্রেশন ফি ও স্ট্যাম্প ডিউটি।
সাধারণত প্রতি বছরই এই হার পুনর্বিবেচনা করা হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালে তা সম্ভব হয়নি। উল্টে রিয়েল এস্টেট খাতকে চাঙ্গা করতে ২ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছিল রেজিস্ট্রেশন ও স্ট্যাম্প ডিউটিতে। গত বছর সেই ছাড় প্রত্যাহার করার পর এবার সরাসরি সার্কল রেট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
কোথায় কতটা বৃদ্ধি?
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকাভেদে ১২ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সার্কল রেট বেড়েছে। শহর ও শহরতলিতে এই হার ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। যেমন— মহিষবাথান, বরানগর, সোনারপুর, বারুইপুর, নিউটাউন, বেহালা সরশুনা, তপসিয়া— এই সব জায়গায় ফ্ল্যাটের বাজারদর গত ছ’বছরে ৫৫ থেকে ৮৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সেই ব্যবধান মেটাতেই সার্কল রেট সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রেজিস্ট্রেশন ও স্ট্যাম্প ডিউটির খরচ
- সম্পত্তির মূল্যের ১% হারে রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হয়।
- স্ট্যাম্প ডিউটি গ্রামীণ এলাকায় ন্যূনতম ৫%, শহরে ৬%।
- এক কোটি টাকার বেশি দামের সম্পত্তির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১% স্ট্যাম্প ডিউটি প্রযোজ্য।
নির্মাণশিল্প বিশেষজ্ঞদের দাবি, নতুন সার্কল রেট কার্যকর হলে কিছু অভিজাত এলাকায় ৮৫০ বর্গফুট ফ্ল্যাটের দাম এক কোটির বেশি হতে পারে। সেক্ষেত্রে ক্রেতাদের গুনতে হবে অতিরিক্ত ১% স্ট্যাম্প ডিউটি।
বাজারে প্রভাব?
বাড়তি খরচের কারণে সম্পত্তি কেনাবেচা কমে যেতে পারে কি না, সে বিষয়ে প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন— “গতবার স্ট্যাম্প ডিউটির ছাড় প্রত্যাহারের সময়ও একই আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু রাজস্ব আদায়ের পরিসংখ্যান প্রমাণ করেছে, আশঙ্কা অমূলক। সার্কল রেট বৃদ্ধির পরও বাজারে বড় ধাক্কা লাগবে না।”
আরও পড়ুন: পুজোয় আসছে ‘ইকোজেনিক’, বর্জ্যকে কাঠকয়লায় পরিণত করার প্রযুক্তি আনছে কলকাতা পুরসভা