Home খবর রাজ্য জোট গড়লে তৃণমূলকে হারানো সম্ভব, সাগরদিঘির জয়ে দাবি বাম-কংগ্রেসের

জোট গড়লে তৃণমূলকে হারানো সম্ভব, সাগরদিঘির জয়ে দাবি বাম-কংগ্রেসের

0

শেষ তিন বার সাগরদিঘিতে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। তাই জোড়াফুল শিবিরের মনোবলও ছিল তুঙ্গে। কিন্তু তাদের সেই আত্মবিশ্বাসে জোর ধাক্কা দিলেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস।

বৃহস্পতিবার সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ভোটগণনার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী। এককালে অধীররঞ্জন চৌধুরীর গড় বলে পরিচিত মুর্শিদাবাদে ফের হাতের জয়জয়কার। বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর জয়ের খবরে উচ্ছ্বসিত জোট সমর্থকরা।

নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২২,৯৮০ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেনন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস।

সাগরদিঘির উপনির্বাচনে জোট প্রার্থী বিপুল ব্যবধানে জয় বাম ও কংগ্রসকে যথেষ্ট উৎসাহ জুগিয়েছে। জোটের এই ফল রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রভাব ফেলবে বলে প্রত্যাশা করছে তারা। তাদের দাবি, গোটা বাংলাকে একটা বার্তা দিচ্ছে সাগরদিঘি। জোট গড়ে লড়তে পারলে তৃণমূলকে হারানো সম্ভব।

অন্য দিকে, অধীরের দাবি, “আমার একটাই কথা, এই নির্বাচন প্রমাণ করল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাজেয় নন। তাঁকে পরাজিত করা যেতে পারে। তৃণমূলকে বধিবে যে, মুর্শিদাবাদে বাড়িছে সে। এই বাংলায় চোরতন্ত্র উচ্ছেদ করে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করব। কংগ্রেস, বাম এবং অন্যান্য সমস্ত সঙ্গী দল মিলে।”

২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা ৩টি বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে জোড়াফুল ফুটেছিল। তবে এ বার আসনটি ছিনিয়ে নিল কংগ্রেস। গত বিধানসভায় সাগরদিঘিতে প্রায় ৫০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী, অধুনা প্রয়াত সুব্রত সাহা। সেই আসনে মাত্র ২ বছরের ব্যবধানে দল প্রায় ২৩ হাজার ভোটে হারল কীভাবে, তা নিয়ে জোড়াফুল শিবিরেও চর্চা শুরু হয়েছে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version