কলকাতা: হঠাৎ করে মোবাইলে বিকট আওয়াজ। আর তারই সঙ্গে ভেসে উঠছে একটি ফ্ল্যাশ এসএমএস। থতমত খেয়ে গিয়ে অনেকেই এই অ্যালার্টের কারণ বুঝে উঠতে পারছেন না। আসলে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো হচ্ছে ‘ইমার্জেন্সি অ্যালার্ট’। কী কারণে?
এটি আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি সতর্কতাবার্তা। দেশ জুড়েই পরীক্ষামূলক ভাবে এই অ্যালার্ট পাঠানো হচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ বা এনডিএমএ-র তরফে সমস্ত অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোনে পাঠানো হচ্ছে ইমার্জেন্সি অ্যালার্ট। সঙ্গে থাকছে ফ্ল্যাশ মেসেজও।
গত কয়েক মাস ধরে ভারতের একাধিক রাজ্যে এই পরীক্ষা শুরু করেছে কেন্দ্রের টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ। জরুরি সময়ে যাতে প্রত্যেক মোবাইল ব্যবহারকারী সঠিক অ্যালার্ট পান তারই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে সরকার। শুক্রবার কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলার স্মার্টফোনধারীরা এ ধরনের সতর্কতাবার্তা পেয়েছেন। কেউ কেউ একাধিক বার।
কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, নতুন এই ইমার্জেন্সি অ্যালার্ট সিস্টেম বিপদের সময়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার জন্য ব্য়বহার করা হবে। জনগণের সুরক্ষা ও জরুরি সময়ে সতর্কতা জারি করার জন্যই এই অ্যালার্ট সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। মোবাইলের নেটওয়ার্ক না থাকলেও, এই বার্তা পৌঁছে যাবে ফোনে।
সতর্কতাবার্তায় স্পষ্ট লেখা থাকছে, “এটি ভারত সরকারের টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের সেল ব্রডকাস্টিং সিস্টেমের মাধ্যমে পাঠানো একটি নমুনা পরীক্ষার বার্তা। দয়া করে এই বার্তাটিকে উপেক্ষা করুন। কারণ আপনার পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই। এই বার্তাটি জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রয়োগ করা প্যান-ইন্ডিয়া-এমার্জেন্সি অ্যালার্ট সিস্টেম পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। এটির লক্ষ্য জনসাধারণের সুরক্ষা বৃদ্ধি করা এবং জরুরি পরিস্থিতিতে সময়মতো সতর্কতা প্রদান করা।”
আরও পড়ুন: ৮ প্রাক্তন ভারতীয় নৌ-অফিসারকে মৃত্যুদণ্ড দিল কাতার আদালত, বিদেশ মন্ত্রক ‘সব আইনি পথ খুঁজছে’