খবর অনলাইন ডেস্ক: আর তিন দিন পরেই রথযাত্রা। ৭ জুলাই রবিবার জগন্নাথদেবের রথযাত্রা। বলরাম ও সুভদ্রাকে নিয়ে জগন্নাথদেব যাবেন মাসির বাড়ি। সাজছে পুরী, সাজছে মাহেশ, সাজছে মহিষাদল। সাজছে সেই সব জায়গা যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে রথযাত্রার ঐতিহ্য।
কলকাতাও পিছিয়ে নেই। পুরো দমে চলছে রথযাত্রার প্রস্তুতি। রবিবার সকাল থেকেই পাড়ায় পাড়ায় বেরিয়ে পড়বে শিশুদের দল – একতলা, দোতলা রথ নিয়ে। সঙ্গে থাকবেন বড়োরা। বহু বনেদি বাড়িতে হবে রথযাত্রা উৎসব। আর ইসকনের রথ তো আছেই।
রথযাত্রা উপলক্ষ্যে ইসকনের রথে এখন পড়ছে রঙের প্রলেপ। কলকাতার এলগিন রোডের ইসকনের রাধাগোবিন্দ মন্দির থেকে শুরু হয় রথযাত্রা। ১৯৭২ সালে দুপুর আড়াইটে নাগাদ জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রাকে নিয়ে প্রথম রথযাত্রার সময় যে যে পথ দিয়ে রথ এগিয়েছিল, আজও সেভাবে রথ এগোয়। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা পুরীতে যান মাসির বাড়িতে। আর কলকাতায় ইসকনের জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা যান মহাত্মা গান্ধী রোডে মল্লিকদের ঠাকুরবাড়িতে। সেখানে এক সপ্তাহ থেকে ফেরেন উল্টোরথের দিন।
এখন রথের বাজার বেশ জমে উঠেছে। একতলা-দোতলা রথের চাহিদা তো প্রচুর। শিল্পীদের ঘরে তৈরি হচ্ছে সেই রথ।
রথযাত্রার দিন শুধু রথ টানাই নয়, রথের আরোহী অর্থাৎ জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার পুজোও করা হয়। ঠাকুরের মূর্তি বানানো এখন কুটিরশিল্প। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে শিল্পীরাও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার মূর্তি বানাতে।
যাত্রার পোস্টার পড়ে গিয়েছে কলকাতার চিৎপুরে। রথযাত্রার সঙ্গে চিৎপুরের যাত্রাপাড়ার একটা আত্মিক যোগ আছে। রথযাত্রায় মহা ধুমধাম যাত্রাপাড়ায়। চিরাচরিত রীতি মেনে ওই দিন থেকেই শুরু হয়ে যাবে যাত্রাপালার।
আরও পড়ুন
তিথির ফেরে বিকালে শুরু হতে পারে পুরীর রথযাত্রা