খবর অনলাইন ডেস্ক: সতর্কতা জারি করল নাসা। পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে একটি। এর নাম দেওয়া হয়েছে গ্রহাণু ২০২৪ এনবি১ (2024 NB1)। তার গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৫০১০ কিলোমিটার। এই গ্রহাণু ৬১ মিটার দীর্ঘ। পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে যে জায়গায় আসবে তার দূরত্ব ৩৪.৮ লক্ষ মাইল।
এই বিশাল বিমানের আয়তনের গ্রহাণুটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে মঙ্গলবার ভারতীয় সময় রাত ৮টা ২৪ মিনিটে, ৩৪.৮ লক্ষ মাইল দূরে। এই গ্রহাণুটি অ্যাটেন গোষ্ঠীর। এই গোষ্ঠীর গ্রহাণু খুব ঘন ঘন পৃথিবীর সংস্পর্শে আসে। প্রথম আবিষ্কৃত গ্রহাণু ‘২০৬২ অ্যাটেন’-এর নামে এই গোষ্ঠীর নাম অ্যাটেন।
বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুর গতিবিধির উপর সদাসর্বদা নজর রাখেন কেন। উত্তরটা খুব সহজ। গ্রহাণুর আঘাতে যে সর্বনাশা প্রভাব তৈরি হয় তা পৃথিবীর ক্ষেত্রে হৃদয়-বিদারক হতে পারে। ৬ কোটি ৬০ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীকে যে বিশাল গ্রহাণু আঘাত করেছিল তাতে ডায়নোসর বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, এর পরবর্তী প্রতিক্রিয়া খুব সাংঘাতিক হয়েছিল। তাই যখন কোনো গ্রহাণুর পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসার খবর থাকে, তখনই নাসা এবং অন্যান্য মহাকাশ সংস্থা সদাসর্বদা এই মহাজাগতিক পাথরের উপর নজর রাখে।
এই ২০২৪ এনবি১ গ্রহাণু কি বিপজ্জনক?
মহাকাশ সংস্থা নাসার হিসাব অনুযায়ী একটি গ্রহাণুকে তখনই বিপজ্জঙ্ক ধরা হয় যখন যদি সেই গ্রহাণু পৃথিবী থেকে ৪৬ লক্ষ মাইল দূরের মধ্যে থাকে এবং তা যদি ১৫০ মিটারের বেশি দীর্ঘ হয়। নাসার জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরি আসন্ন গ্রহাণুগুলির উপর নজর রেখেছে এবং ২০২৪ এনবি১ গ্রহাণু সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে। তবে গ্রহাণু বিপজ্জনক হতে গেলে যে মাপের হতে হয় এই ২০২৪ এনবি১ গ্রহাণুর মাপ তার চেয়ে অনেক কম। তাই এটিকে বিপজ্জনক হিসাবে ধরা হচ্ছে না।
তবু এর ওপর নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি। কারণ নিজের কক্ষপথ থেকে একটু বিচ্যুত হয়ে গেলেই এই মহাজাগতিক পাথর পৃথিবীর দিকে চলে দিকে চলে আসতে পারে। তবে নাসা আশ্বস্ত করে বলেছে, এই গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ দিয়ে নিরাপদে চলে যাবে। কোনো প্রভাব পড়বে না। তবুও এই আশ্বাস সত্ত্বেও গ্রহাণুদের উপর নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি।
আরও পড়ুন
চন্দ্রযান-৩: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এক নতুন আবিষ্কার রোভার প্রজ্ঞানের