২০২৫ সালের নোবেল পুরস্কার—পদার্থবিজ্ঞানে—মহাকণা কোয়ান্টাম তত্ত্বকে সংকীর্ণ পরীক্ষাগৃহের বাইরে নিয়ে এসেছেন: পুরস্কারটি ভাগাভাগি করে নিলেন জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ. ডেভোরে ও জন এম. মার্টিনিস। তাঁদের করা পরীক্ষায় দেখা গেছে কীভাবে কোয়ান্টাম টানেলিং এবং এনার্জি কোয়ান্টাইজেশন স্বল্প কণার সমষ্টি নয়, বরং একটি সেন্টিমিটারখানিক সুপারকন্ডাক্টিং চিপে—অর্থাৎ বিপুলসংখ্যক কপার জোড়া (Cooper pairs) জড়িত অবস্থায়—স্পষ্টভাবে উপস্থিত হয়।
লাউরিয়েটরা একটি সুপারকন্ডাক্টিং ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট তৈরি করেন; সেই সার্কিট ধারণ করেছিল কয়েক বিলিয়ন কপার জোড়াকে, অথচ তাতে টানেলিং এবং কোয়ান্টাইজড শক্তি পর্যবেক্ষণ সম্ভব হয়—এভাবে কোয়ান্টাম প্রভাবকে ক্ষুদ্র আণবিক-মাত্রার বাইরে এনে ম্যাক্রোস্কোপিক স্তরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সহজভাবে বলা যায়, এই কাজটি কোয়ান্টামের ‘ক্ষুদ্রতার সীমানা’ বাড়িয়ে দিয়েছে এবং দেখিয়েছে যে কোয়ান্টামিয় আচরণ অনেক কণার সমষ্টিতেও প্রাণবন্ত থাকতে পারে।
এ পরীক্ষাগুলি কেবল তাত্ত্বিক কৌতুক নয়—সুপারকন্ডাক্টিং চিপ ও কিউবিট-ভিত্তিক প্রযুক্তির গবেষণায় এটির বহুমুখী প্রভাব রয়েছে। বড় আকারের কোয়ান্টাম সিস্টেম বোঝা ও নিয়ন্ত্রণ করা ভবিষ্যৎ কিউান্টাম কম্পিউটিং, কিউান্টাম সেন্সিং এবং উন্নত কনজারভেশন প্রযুক্তির জন্য মূলধন হিসেবে কাজ করবে—এটাই নোবেলজয়ীদের কৃতিত্বের মূল।
ফিজিক্স নোবেলের ঘোষণা সোমবারের চিকিৎসা নোবেলের পর এসেছে; আর এরপরে এই সপ্তাহে কেমিস্ট্রি (বুধবার), সাহিত্য (বৃহস্পতিবার) ও শান্তি (শুক্রবার) পুরস্কারের ঘোষণা চলবে। অর্থনীতিতে নোবেল মেমোরিয়াল পুরস্কার ১৩ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে। সমস্ত পুরস্কার প্রাপকরা ডিসেম্বরের ১০ তারিখে স্টকহোমে জমা হয়ে সম্বর্ধনা গ্রহণ করবেন—ওই দিনই আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকী।