ফের ইসরোর (ISRO) সাফল্যের মুকুটে জুড়তে চলেছে নতুন পালক। ডিসেম্বরে ইতিহাস গড়তে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। অপার রহস্যে ভরা সূর্য। সেই সূর্য অভিযানে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে ইসরো। এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।
সূর্যের রহস্য উন্মোচনে এ বার যান পাঠাতে চলেছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (এসা, ESA)। প্রোবা-৩ (PROBA-3) নামে এই যান সূর্যের কাছে পৌঁছে সোলার রিমের কাছে থাকা করোনাকে খুব কাছ থেকে পরীক্ষা করে দেখবে। এতে সূর্যকে আরও ভাল করে জানা যাবে। তার পরিবর্তন সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। এই উদ্যোগে হাত মিলিয়েছে ইসরো। ইসরোই এই প্রোবা-৩-কে পৌঁছে দেবে মহাকাশে।
আগামী ডিসেম্বরেই ইসরোর শ্রীহরিকোটা লঞ্চপ্যাড থেকে পিএসএলভি-এক্সএল রকেটে চেপে পাড়ি দেবে প্রোবা-৩। সূর্যের আবহাওয়া সম্পর্কে জানার চেষ্টায় যৌথ ভাবে শামিল হচ্ছেন ইএসএ এবং ইসরোর বিজ্ঞানীরা। দুটি কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রোবা-৩। এই দুটি কৃত্রিম উপগ্রহ মিলে একটি ১৪৪ মিটারের যন্ত্র তৈরি করবে, যা সূর্যের করোনাগ্রাফ তৈরি করবে। সূর্যের তীব্র উজ্জ্বলতার কারণে বিজ্ঞানীদের পক্ষে সূর্যের করোনা পরীক্ষা কঠিন হয়। এই যন্ত্র সেই সমস্যার ঊর্ধ্বে উঠে করোনা পরীক্ষা করতে সাহায্য করবে।
তবে সাফল্যের এই খবরের মধ্যেই ইসরো মহাকাশে দেশের মহাকাশচারী নিয়ে যাওয়ার প্রথম অভিযান গগনযান (Gaganyaan) ২০২৬ সাল পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী বছর গগনযান অভিযান হওয়ার কথা ছিল। ইসরোর প্রধান শ্রীধর সোমানাথ গগনযান মিশন এক বছর পিছিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
সোমানাথ বলেন, মহাকাশে দেশের মহাকাশচারী পাঠানোর আগে অনেক ক্রুবিহীন পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের মহাকাশ অভিযানের বিপত্তির কারণে, ইসরো গগনযান অভিযানের প্রস্তুতিতে সতর্কতা অবলম্বন করছে। বোয়িংয়ের স্টারলাইনার মহাকাশযানে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে পৃথিবীতে ফেরা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। ইসরোও এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছে। গগনযানের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য ইসরো অনেক পরীক্ষানিরীক্ষা করছে।