Home খেলাধুলো ‘ভারতের কুস্তিকে বাঁচান’, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে কুস্তি ফেডারেশনে ব্রিজভূষণের প্রতিপত্তির কথা বললেন...

‘ভারতের কুস্তিকে বাঁচান’, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে কুস্তি ফেডারেশনে ব্রিজভূষণের প্রতিপত্তির কথা বললেন সাক্ষী মালিক  

0
ব্রিজভূষণ শরণ সিং, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সাক্ষী মালিক।

খবর অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মান্ডবীয়ার দ্বারস্থ হলেন কুস্তিগির সাক্ষী মালিক। নিজের ‘এক্স’ অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছেন কুস্তিগিরদের পাশে থেকে দেশের কুস্তিকে বাঁচানোর জন্য।

ওই ভিডিয়োয় মালিক বলেছেন, তিনি ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের (ডব্লিউএফআই) বিরুদ্ধে বলেছেন বলে তাঁকে ক্রমাগত ভয় দেখানো হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাঁর বিপন্নতা আরও বাড়ানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে তাঁর আবেদন তাঁরা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করুন এবং ভারতের কুস্তির ভবিষ্যৎকে রক্ষা করুন।  

কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি ও যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ এবং কুস্তি ফেডারেশনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন ২০১৬-এর রিয়ো অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জজয়ী সাক্ষী। সরকার কুস্তি ফেডারেশনকে সাসপেন্ড করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সংস্থা তার কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। কাজ বন্ধ রাখার জন্য আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল তাকেও ডব্লিউএফআই উপেক্ষা করছেন বলে দাবি করেছেন সাক্ষী।

সাক্ষী তাঁর ভিডিয়ো বার্তায় বলেছেন, “গত বছর থেকেই ব্রিজভূষণ ও তাঁর অধীনে থাকা কুস্তি সংস্থা কী ভাবে কুস্তিগিরদের সমস্যায় ফেলেছে তা গোটা দেশ দেখেছে। আমরা প্রতিবাদ করায় আমাদের হেনস্থা করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে আমি কুস্তি ছেড়েছি। তার পরে কেন্দ্রীয় সরকার কুস্তি সংস্থাকে সাসপেন্ড করেছে। কিন্তু কুস্তি সংস্থা কিছু দিনের মধ্যেই আবার নিজেদের কাজ চালাতে শুরু করেছে।” বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন সাক্ষী।

ভিডিয়ো বার্তায় সাক্ষী প্রশ্ন তুলেছেন, “সরকার সাসপেন্ড করার পরেও কুস্তি সংস্থা কী ভাবে নিজেদের কাজ চালায়?” সাক্ষীর কথায়, “হাই কোর্টও কুস্তি সংস্থাকে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু ওরা কোনও নির্দেশই শুনছে না। আদালত যখন প্রশ্ন করছে তখন ওরা কুস্তিগিরদের এগিয়ে দিচ্ছে। ওদের ভবিষ্যতের কথা বলে সময় নিচ্ছে।”

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে সাক্ষী বলেছেন, “আপনার যদি মনে হয় ব্রিজভূষণের রমরমা এখনও যে কুস্তি সংস্থায় আছে তার অধীনে মহিলা কুস্তিগিরেরা সুরক্ষিত থাকবে তা হলে ওই সংস্থার ওপর থেকে সাসপেনশন তুলে নিন। তা না হলে এই সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধান করুন।

সাক্ষী আরও বলেছেন, “ব্রিজভূষণের সঙ্গে যাঁরা জড়িয়ে আছেন তাঁরা হুমকি দিচ্ছেন। বলা হচ্ছে, ‘আপনি নর্দার্ন রেলে বাচ্চাদের ভর্তির ব্যাপারটা দেখেন। আপনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হবে’। আমার এই হুমকিতে কিছু এসে যায় না। কিন্তু ভারতীয় কুস্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার খুব দুঃখ হয়।”

এই পরিস্থিতিতে দেশের কুস্তিকে বাঁচানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছেন সাক্ষী মালিক।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version