Home গান-বাজনা ‘বাঙালির শিল্প ঐতিহ্যের মশাল বহন করতে হবে পরবর্তী প্রজন্মকেই,’ টুরিয়া টকসে বললেন...

‘বাঙালির শিল্প ঐতিহ্যের মশাল বহন করতে হবে পরবর্তী প্রজন্মকেই,’ টুরিয়া টকসে বললেন সঙ্গীতশিল্পী জয় বড়ুয়া

বাংলার সৃজনশীল ঐতিহ্যকে ‘জেনারেশনাল ওয়েলথ’ বলে অভিহিত করলেন সংগীতশিল্পী জয় বড়ুয়া। তুরিয়া টকসের নতুন সিজনে শিল্প, ঐতিহ্য ও আবেগের কথায় অনুপ্রেরণার ছোঁয়া।

joi barua

“সঙ্গীতের কাজই হল আবেগ জাগানো, ভাবনা জাগানো, এক অন্য জগতে নিয়ে যাওয়া,”— এমনই মত সঙ্গীতশিল্পী জয় বড়ুয়ার। তাঁর কথায়, বাংলার সঙ্গীত ও সাহিত্য ঐতিহ্য শুধু সংস্কৃতি নয়, এক বিশাল ‘জেনারেশনাল ওয়েলথ’— প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে রক্ষা করা এক জীবন্ত ঐতিহ্য।

তুরিয়া কমিউনিকেশনের জনপ্রিয় পডকাস্ট TuriyaTalks-এর দশম সিজনের সূচনাতেই অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন এই খ্যাতনামা সঙ্গীতশিল্পী। যুক্তরাষ্ট্র থেকে শো’টি সঞ্চালনা করেন অরিজিৎ বসু।

আলোচনার শুরুতেই শিল্প, সংস্কৃতি ও সৃষ্টিশীলতার এক প্রাণবন্ত উদযাপন ঘটে। জয় বলেন, “বাংলা খুব সৌভাগ্যবান রাজ্য। এখানে এমন মানুষ ছিলেন, যাঁরা জ্ঞান, সৃজনশীলতা আর সাহিত্যকে এত উচ্চ মানে নিয়ে গিয়েছেন। তাঁরা মানদণ্ড ঠিক করে দিয়েছেন, আর এখন পরবর্তী প্রজন্মের দায়িত্ব সেই মশাল বহন করার।”

তাঁর মতে, সঙ্গীত শুধুমাত্র বিনোদন নয়, বরং ভাবনা ও অনুভূতির প্রকাশ। বাংলা সঙ্গীতের ঐতিহ্য— তার গভীরতা, চিন্তাশক্তি ও লেখনী— তাঁকে আজও অনুপ্রেরণা দেয়।

এই পর্বে শ্রোতারা পেয়েছেন জয় বড়ুয়ার জীবনযাত্রার এক অনুপ্রেরণাদায়ী ঝলক। পেয়েছেন তাঁর সৃজনশীল দর্শন, শিল্পে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কৌশল এবং এক অদম্য বিশ্বাস— “Passion is the proven path to success।”

ভারতের সঙ্গীত জগতে জয় বড়ুয়া বহু বছর ধরেই বহুমুখী ও পরীক্ষামূলক কণ্ঠ হিসেবে খ্যাত। দেশ-বিদেশে তাঁর সঙ্গীতের ক্রস-কালচারাল ফিউশন এবং উদ্ভাবনী ধারা প্রশংসিত হয়েছে।অন্যদিকে, TuriyaTalks গত নয়টি সিজন জুড়ে শিল্পী, উদ্যোক্তা, থট লিডার এবং চেঞ্জমেকারদের অনুপ্রেরণাদায়ক গল্প তুলে ধরেছে। এবার দশম সিজনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যেখানে প্রথম অতিথি হিসেবেই জয় বড়ুয়াকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version