মহাকাশে আটকে আছেন নাসার মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং বাচ উইলমোর। তারা ৬ জুন থেকে মহাকাশে অবস্থান করছেন এবং শীঘ্রই পৃথিবীতে ফিরতে চাইছেন। তবে, নাসার মতে, তাঁদের আরও কয়েকদিন অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকতে হতে পারে।
NASA জানিয়েছে, শনিবার (২৪ আগস্ট) তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে সুনীতা উইলিয়ামস এবং বাচ উইলমোরকে বোয়িংয়ের স্টারলাইনার মহাকাশযানে পৃথিবীতে ফেরানো হবে, নাকি স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলে। নাসার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “এজেন্সি-স্তরের পর্যালোচনার পরে, শনিবারের আগে স্টারলাইনারে মহাকাশচারীদের ফেরানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।”
সুনীতা উইলিয়ামস এবং বাচ উইলমোরের অভিযান আট দিনের জন্য শুরু হলেও, এখন তাঁরা দুই মাসের বেশি সময় ধরে মহাকাশে আটকে রয়েছে। স্টারলাইনারের যাত্রা পথে একাধিক প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, যেমন কয়েকটি থ্রাস্টার ব্যর্থ হওয়া এবং প্রপালশন সিস্টেমে হিলিয়াম লিক।
যদিও প্রকৌশলীরা পাঁচটি বিকল থ্রাস্টারের মধ্যে চারটি পুনরায় চালু করতে সক্ষম হয়েছেন, তবুও পৃথিবীতে ‘সফলভাবে ফিরে আসা’ নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। বোয়িং তাদের স্টারলাইনারের নিরাপত্তা সম্পর্কে আশ্বস্ত করেছে, তবে NASA-র কর্মকর্তারা এ বিষয়ে একমত নন।
যদি NASA স্টারলাইনারকে নিরাপদ মনে না করে, তবে এটি স্টেশন থেকে জনবিহীনভাবে বিচ্ছিন্ন হবে। সুনীতা উইলিয়ামস এবং বাচ উইলমোর ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলে করে পৃথিবীতে ফিরবেন, কারণ NASA তাদের Crew-9 মিশনের লঞ্চ সেপ্টেম্বরে পিছিয়ে দিয়েছে।
বহু প্রতিবন্ধকতার পর বোয়িং ৫ জুন প্রথমবারের মতো তাদের মিশন শুরু করে। NASA-এর কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামের অধীনে ২০১৪ সালে বোয়িং এবং স্পেসএক্স চুক্তি স্বাক্ষর করে। যদিও স্পেসএক্স ২০২০ সাল থেকে সফলভাবে মহাকাশচারীদের নিয়ে স্পেস স্টেশনে পৌঁছাচ্ছে, বোয়িং তাদের স্টারলাইনার প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ১.৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে। NASA এয়ারস্পেস জায়ান্টকে প্রায় ৪.২ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে।
বোয়িংয়ের স্টারলাইনার এবং স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুল উভয়ই NASA-এর মহাকাশ মিশনগুলির জন্য মহাকাশচারী এবং কার্গো বহন করতে পরিকল্পিত।