নেদারল্যান্ডস: ১৭৯ (৪৬.৩ ওভার) (সিব্রান্ড এঙ্গেলব্রেশট্ ৫৮, মাক্স ও’ডাউড ৪২, মোহম্মদ নবি ৩-২৮, নুর আহমদ ২-৩১)
আফগানিস্তান: ১৮১-৩ (৩১.৩ ওভার) (হাশমাতুল্লাহ শহিদি ৫৬ নট আউট, রহমত শাহ ৫২, রোয়েলোফ ফান ডেয়ার মার্ভে ১-২৫)
লখনউ: ৭টা ম্যাচের মধ্যে ৪টে ম্যাচে জিতে ৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করে এ বারের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে থাকল আফগানিস্তান। ৭ ম্যাচ থেকে নিউজিল্যান্ডেরও সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। কিন্তু নেট রানরেটের বিচারে লিগ টেবিলে নিউজিল্যান্ড রয়েছে চতুর্থ স্থানে, আফগানিস্তান পঞ্চম স্থানে।
শুক্রবার নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে পর পর তিনটে ম্যাচ জিতল আফগানিস্তান। এ দিন প্রথম ব্যাট করে নেদারল্যান্ডস করে ১৭৯ রান। জয়ের জন্য ১৮০ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে ১৮.৩ ওভার বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আফগানরা। তারা করে ৩ উইকেটে ১৮১। ফলে ৭ উইকেটে জিতে যায় তারা। ৭ ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে লিগ টেবিলে ডাচরা থাকল অষ্টম স্থানে।
নেদারল্যান্ডসের চার ব্যাটার রান আউট
শুক্রবার লখনউয়ের ভারত রত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট নেয় নেদারল্যান্ডস। একেবারে গোড়াতেই বিপর্যয় ঘটে। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই বিদায় নেন ভেসলে বারেসি। মুজিব উর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ আউট হয়ে ফিরে যান তিনি। দলের রান তখন ৩।
দ্বিতীয় উইকেটে পরিস্থিতি দুর্দান্ত ভাবে সামাল দেন মাক্স ও’ডাউড এবং কোলিন আকারমান। তাঁরা যোগ করেন ৭০ রান। দুর্ভাগ্য নেদারল্যান্ডসের। পর পর তিনটি রান আউট তাদের আবার বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেয়। ৪০ বলে ৪২ রান করে ও’ডাউড রান আউট হয়ে যান। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে সিব্রান্ড এঙ্গেলব্রেশট্ এবং কোলিন আকারমান ১৯ রান যোগ করার পর আবার উইকেট পতন। আকারমান রান আউট হয়ে যান। দলের রান তখন ৯২। নামেন অধিনায়ক স্কট এডোয়ার্ডস। নেমেই তিনি পরের বলেই রান আউট হন। ডাচেদের ৪ উইকেট পড়ে যায় ৯২ রানে।
এর পর ঘন ঘন উইকেট পড়তে থাকে ডাচেদের। এক প্রান্তে অটুট থেকে আফগান বোলারদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে সিব্রান্ড এঙ্গেলব্রেশট্। অন্য প্রান্তে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। এঙ্গেলব্রেশট্ আউট হন দলের ১৫২ রানের মাথায়। তিনিও রান আউট হন। এর পর বাকি দুটি উইকেটে ২৭ রান যোগ হওয়ার পর নির্ধারিত ৫০ ওভারের ১৯ বল বাকি থাকতেই নেদারল্যান্ডস ১৭৯ রানে অল আউট হয়ে যায়।
সহজেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছোল আফগানিস্তান
বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে থাকতে হল এ দিন জিততেই হত আফগানদের। আর ডাচদের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রাও খুব একটা কঠিন ছিল না। কিন্তু ৫৫ রানের মধ্যে ২টি উইকেট পড়ে যাওয়ায় কিছুটা বেকায়দায় পড়ে আফগানরা। ১১ বলে ১০ রান করে রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ৩৪ বলে ২০ রান করে ইব্রাহিম জাদরান ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। দলের হাল ধরেন রহমত শাহ এবং হাশমাতুল্লাহ শহিদি। মাথা ঠান্ডা রেখে একটু একটু করে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে আফগানিস্তান।
একটা সময়ে বোঝাই যায় আফগানদের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। কোনো ডাচ বোলারই তাঁদের বেগ দিতে পারেননি। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে ৭৪ রান যোগ হওয়ার পর প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন রহমত শাহ। ৫৪ বলে ৫২ রান করে সকিব জুলফিকারের বলে তাঁকেই ক্যাচ দেন রহমত। হাশমাতুল্লাহ শহিদির সঙ্গী হন আজমাতুল্লাহ ওমরজাই। দু’ জনে স্বচ্ছন্দে দলকে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দেন। ৬৪ বলে ৫৬ করে শহিদি এবং ২৮ বলে ৩১ করে ওমরজাই নট আউট থাকেন। আফগানরা জিতে যায় ৭ উইকেটে। ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হন আফগানিস্তানের অল রাউন্ডার মোহম্মদ নবি।
আরও পড়ুন
মোহম্মদ শামির দখলে ৪৫ উইকেট, বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারতের সবচেয়ে সফল বোলার