বাংলাদেশ: ৩০৬-৮ (তৌহিদ হৃদয় ৭৪, নাজমুল হোসেন শান্ত ৪৫, অ্যাডাম জাম্পা ২-৩২, সিয়ান অ্যাবট ২-৬১)
অস্ট্রেলিয়া: ৩০৭-২ (৪৪.৪ ওভার) (মিচেল মার্শ ১৭৭ নট আউট, স্টিভ স্মিথ ৬৩ নট আউট, তাসকিন আহমদ ১-৬১)
পুনে: না, পারল না বাংলাদেশ। জেতা তো দূরস্থান, বিন্দুমাত্র লড়াইও করতে পারল না বাংলাদেশ। এ বারের বিশ্বকাপে লিগের খেলায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেলায় ম্যাচ খুইয়ে বিদায় নিল বাংলাদেশ। টানা ৭টি ম্যাচে জয় পেল অস্ট্রেলিয়া।
শনিবার পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। এ দিন প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ যখন ৮ উইকেটে ৩০৬ রান তোলে তখন মনে হয়েছিল, জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছোতে অস্ট্রেলিয়াকে লড়তে হবে। কিন্তু না, তা হল না। জয় যে এত সহজে আসবে সেটা বোধহয় অস্ট্রেলিয়ার অতি বড়ো সমর্থকও ভাবতে পারেননি।
চেষ্টা করলেন হৃদয়, শান্ত
বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা খারাপ শুরু করেনি। তানজিদ হাসান ও লিটন দাসের জুটি প্রথম উইকেটেই দলের ইনিংসের ভিত গড়ে দেয়। যথেষ্ট মারমুখী ছিলেন তাঁরা। ১১.২ ওভারে তাঁরা যোগ করেন ৭৬ রান। ৩৪ বলে ৩৬ রান করে সিয়ান অ্যাবটের বলে তাঁকেই ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান হাসান। দলের রান তখন ৭৬। এর সঙ্গে ৩০ রান যোগ হতেই প্যাভিলিয়নে পা বাড়ান লিটন। দলের ১০৬ রানের মাথায় ৪৫ বলে ৩৬ রান করে অ্যাডাম জাম্পার বলে মার্নাস লাবুশানেকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন লিটন।
এর পর দলের হাল ধরেন তৌহিদ হৃদয় এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। শাকিব আল হাসান এ দিন না খেলায় শান্তকে অধিনায়ক করা হয়। তৃতীয় উইকেটে হৃদয় এবং শান্ত দুর্দান্ত খেলছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য শান্তর। ৫৭ বলে ৪৫ রান করে তিনি রান আউট হন। দলের রান তখন ১৭০। শান্ত বিদায় নিতে হৃদয়ের সঙ্গী হন মেহমুদুল্লাহ। মারমুখী ব্যাটিংয়ে ২৮ বলে ৩২ রান করে তিনি যখন বিদায় নেন তখন বাংলাদেশের রান দাঁড়ায় ৩৫.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৪ রান। এর পর মুসফিকুর রহিম এবং মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গী করে হৃদয় দলের রান পৌঁছে দেন ২৮৬-তে। মার্কাস স্টয়নিসের বলে লাবুশানেকে ক্যাচ দিয়ে তৌহিদ হৃদয় আউট হন ৭৯ বলে ৭৪ রানে। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩০৬ রান করে বাংলাদেশ।
মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই উঠে গেল জয়ের রান
জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তাড়া করতে গিয়ে একেবারে শুরুতেই বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। দলের ১২ রানেই ট্র্যাভিস হেড প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। তখনও মনে হচ্ছিল, খুব সহজে অস্ট্রেলিয়াকে ছেড়ে দেবে না বাংলাদেশকে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই আশা বিলীন হয়ে যায়। প্রথম উইকেটে ডেভিড ওয়ার্নার এবং দ্বিতীয় উইকেটে স্টিভ স্মিথকে সঙ্গী করে মিচেল মার্শ যে দুরন্ত ব্যাটিং করলেন, তা এককথায় অনবদ্য।
প্রথম উইকেটে ওয়ার্নার-মার্শ জুটি ১২০ রান এবং দ্বিতীয় উইকেটে মার্শ-স্মিথ জুটি অবিচ্ছেদ্য থেকে ১৭৫ রান যোগ করেন। মিচেল মার্শ, স্টিভ স্মিথ এবং ডেভিড ওয়ার্নার, অস্ট্রেলিয়ার তিন ব্যাটারই বাংলাদেশের কোনো বোলারকে পাত্তা দেননি। ৫.২ ওভার বাকি থাকতেই অস্ট্রেলিয়া জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায়। মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে তারা তুলে নেয় ৩০৭ রান।
৯ ম্যাচের মধ্যে ৭টিতে জিতে অস্ট্রেলিয়া সংগ্রহ করল ১৪ পয়েন্ট। সমসংখ্যক খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকারও সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। কিন্তু নেট রানরেটের বিচারে দক্ষিণ আফ্রিকা পেল দ্বিতীয় স্থান এবং অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় স্থান। সেমিফাইনালে এই দুটি দল মুখোমুখি হচ্ছে।
আরও পড়ুন