Home খেলাধুলো ক্রিকেট আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ ২০২৪: গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৩৬ রানে হারাল অস্ট্রেলিয়া  

আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ ২০২৪: গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৩৬ রানে হারাল অস্ট্রেলিয়া  

0
অস্ট্রেলিয়া তখন জেতার মুখে। ছবি আইসিসি-র 'এক্স' হ্যান্ডেল থেকে নেওয়া।

অস্ট্রেলিয়া: ২০১-৭ (ডেভিড ওয়ার্নার ৩৯, মিশেল মার্শ ৩৫, ক্রিস জর্ডন ২-৪৩, লিয়াম লিভিংস্টোন ১-১৫)

ইংল্যান্ড: ১৬৫-৬ (জোস বাটলার ৪২, ফিল সল্ট ৩৭, প্যাট কামিংস ২-২৩, অ্যাডাম জাম্পা ২-২৮)

খবর অনলাইন ডেস্ক: গতবারের টি২০ বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ডকে ৩৬ রানে হারিয়ে পর পর দুটি ম্যাচ জিতল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচে তারা ওমানকে হারিয়েছিল। এ দিনের জয়ের ফলে ‘সুপার ৮ রাউন্ড’-এ যাওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে থাকল অস্ট্রেলিয়া। ওদিকে ইংল্যান্ড ২টি ম্যাচ থেকে মাত্র ১টি পয়েন্ট সংগ্রহ করে চিন্তায় রাখল দেশবাসীকে।  

শনিবার ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ১০টায় (স্থানীয় সময় দুপুর ১টা) বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে কেনসিংটন ওভালে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া করে ৭ উইকেটে ২০১ রান। এবারের আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপে এটা ছিল ১৭তম ম্যাচ। এবারের বিশ্বকাপে এই প্রথম কোনো দলের ইনিংস ২০০-র গণ্ডি পেরোল এবং আপাতত এটাই কোনো দলের সর্বোচ্চ রান।

প্রায় সব ব্যাটারেরই কিছু না কিছু রান

অস্ট্রেলিয়ার এই ইনিংসের বিশেষত্ব হল সব ব্যাটারই কিছু না কিছু অবদান রেখে গিয়েছেন। ফলে কারও নামের পাশেই বিশাল কোনো রানের সংখ্যা নেই। সবচেয়ে বেশি রান এসেছে ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে। দলের রান যেখানে ২০০ ছাড়িয়েছে, সেখানে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর যদি ৩৯ হয়, তা হলে বোঝাই যায়, প্রতিটি ব্যাটার কিছু না কিছু রান করেছেন। দেখে নেওয়া যাক সেই রান – ডেভিড ওয়ার্নার ৩৯, মিশেল মার্শ ৩৫, ট্র্যাভিস হেড ৩৪, মার্কাস স্টয়নিস ৩০, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৮ ইত্যাদি।

দুই ওপেনার ট্র্যাভিস হেড এবং ডেভিড ওয়ার্নার বেশ ভালোই শুরু করেন। ঝড়ের গতিতে রান উঠতে থাকে। প্রথম ৫ ওভারে ওঠে ৭০। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ৭০ রানের মাথায় বিদায় নেন ডেভিড ওয়ার্নার। দলের স্কোরের সঙ্গে ৪ রান যোগ হতেই আউট হন হেড। এবার দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মিশেল মার্শ আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ৬৫ রান। এবার ঘন ঘন আউট হন মার্শ (১৩৯ রানের মাথায়) এবং ম্যাক্সওয়েল (১৪১ রানের মাথায়)। মার্কাস স্টয়নিস পঞ্চম উইকেটে টিম ডেভিড এবং ষষ্ঠ উইকেটে ম্যাথু ওয়েডের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দলের স্কোর ২০০-তে নিয়ে যান। ওই ২০০ রানেই ক্রিস জর্ডনের বলে পর পর আউট হন স্টয়নিস এবং প্যাট কামিংস। স্টয়নিস আউট হতেই ক্রিজে এসেছিলেন কামিংস। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২০১ রান করে অস্ট্রেলিয়া।

ভালো শুরু করেও শেষরক্ষা হল না ইংল্যান্ডের

জয়ের জন্য ২০২ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে বেশ ভালো শুরু করে গত বারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার কোনো বোলারকেই সমীহ করছিলেন দুই ওপেনার ফিল সল্ট এবং অধিনায়ক জোস বাটলার। শেষ পর্যন্ত অষ্টম ওভারের প্রথম বলে আউট হয়ে যান সল্ট ২৩ বলে ৩৭ রান করে। অ্যাডাম জাম্পা তাঁকে সরাসরি বোল্ড আউট করেন। বাটলারের সঙ্গী হন উইল জ্যাক্‌স। দলের রান তখন ৭৩।

এর পরেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়া শুরু হয়। ১৯ রান যোগ হতেই সেই জাম্পারই শিকার হন বাটলার। ২৮ বলে ৪৩ রান করে প্যাট কামিংসকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। এর পর বিদায় নেন উইল জ্যাক্‌স। ১০ বলে ১০ রান করে স্টয়নিসের বলে মিশেল স্টার্ককে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। ইংল্যান্ড তখন ৩ উইকেটে ৯৬। জয়ের জন্য বাকি ১০৬ রান, হাতে ৮.১ ওভার। লড়াই ক্রমশ কঠিন হয়ে ওঠে ইংল্যান্ডের কাছে। ক্রিজে জনি বেয়ারস্টো ও মইন আলি। দলের ১২৪ রানের মাথায় জোশ হ্যাজলউডের বলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেন বেয়ারস্টো। এর পর মাত্র ৪ রান যোগ হতেই প্যাট কামিংস-এর বলে ডেভিড ওয়ার্নারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন মইন আলি (১৫ বলে ২৫ রান)। ইংল্যান্ড ৫ উইকেটে ১২৮।

হাতে আছে ৪ ওভার, ৫ উইকেট। জয়ের জন্য করতে হবে ৭৪ রান। উইকেট পতন ঠেকানোর কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন হ্যারি বুক এবং লিয়াম লিভিংস্টোন। কিন্তু দলের ১৫২ রানের মাথায় প্যাট কামিংস তুলে নেন লিভিংস্টোনকে। জয় প্রায় অসম্ভবের পর্যায়ে চলে যায়। জয়ের জন্য বাকি ৫০ রান, হাতে ৭ বল। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড ইনিংস শেষ করে ৬ উইকেটে ১৬৫ করে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন হারল ৩৬ রানে। ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হন অ্যাডাম জাম্পা।

আরও পড়ুন

আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ ২০২৪: বিপর্যয় রুখে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জেতালেন মিলার, স্টুব্‌স

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version