অস্ট্রেলিয়া: ৩২৬ (৪৯.৩ ওভার) (অ্যাশলে গার্ডনার ১১৫, ফোয়েবে লিচফিল্ড ৪৫, লি তাহুহু ৩-৪২, জেস কের ৩-৫৯)
নিউজিল্যান্ড: ২৩৭ (৪৩.২ ওভার) (সফি ডিভাইন ১১১, আমেলিয়া কের ৩৩, সফি মলিনক্স ৩-২৫, আন্নাবেল সাদারল্যান্ড ৩-২৬)
ইনদওর: মহিলাদের একদিনের ক্রিকেটে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া তাদের অভিযান জয় দিয়েই শুরু করল। বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ম্যাচে তারা সহজেই হারাল নিউজিল্যান্ডকে। তারা জিতল ৮৯ রানে। উল্লেখ্য, ২০২২-এর বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়া ট্রফি ঘরে তোলে। এখনও পর্যন্ত তারা সাতবার মহিলাদের একদিনের ক্রিকেটে বিশ্বকাপ জিতেছে।
বুধবার প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের দুই ব্যাটার সেঞ্চুরি করলেন। তবে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক সফি ডিভাইনের ১১২ বলে ১১১ রান কোনো কাজে দিল না। তার আগেই প্রথম ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলে গার্ডনার ৮৩ বলে ১১৫ রান করেন। কার্যত তাঁর সেঞ্চুরির জোরেই অস্ট্রেলিয়া তাদের ইনিংস ৩২৬ রানে টেনে নিয়ে যায়। তবে তখনও ইনিংসের ৩ বল বাকি ছিল। কিন্তু সফি ডিভাইনের সেঞ্চুরি কাজে লাগাতে পারল না নিউজিল্যান্ড। তাদের ইনিংস ৬.৪ ওভার বাকি থাকতেই শেষ হয়ে যায়। ফলত অস্ট্রেলিয়া ৮৯ রানে জিতে যায়। ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হন অ্যাশলে গার্ডনার।

শতরান করার পরে গার্ডনারকে সতীর্থের অভিনন্দন। ছবি ICC ‘X’ থেকে নেওয়া।
অস্ট্রেলিয়ার ১২৮ রানে পড়ে গিয়েছিল ৫ উইকেট
এ দিন ইনদওরের হোলকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে যায় অস্ট্রেলিয়া। একদম শুরুটা খুব খারাপ না করলেও ২১.২ ওভারে ১২৮ রান তুলতেই অস্ট্রেলিয়া ৫টি উইকেট খোয়ায়। কার্যত দু’জনের ব্যাট থেকে রান আসে – ফোয়েবে লিচফিল্ড (৩১ বলে ৪৫ রান) এবং এলিসে পেরি (৪১ বলে ৩৩ রান)। এর পরে দলের হাল ধরেন অ্যাশলে গার্ডনার। ষষ্ঠ উইকেটে তাহলিয়া ম্যাকগ্রাথ (৩৪ বলে ২৬ রান), সপ্তম উইকেটে সফি মলিনক্স (১৯ বলে ১৪ রান) এবং অষ্টম উইকেটে কিম গ্রাথের (৩৭ বলে ৩৮ রান) সহায়তায় গার্ডনার রান টেনে নিয়ে যান ৩০৮-এ। তার পর বাকি দুটি উইকেটে অস্ট্রেলিয়া ১৮ রান যোগ করে। ৪৯.৩ ওভারে তাদের ইনিংস শেষ হয়ে যায়। কিউয়িদের পক্ষে বল হাতে সফল লি তাহুহু (৪২ রানে ৩ উইকেট) এবং জেস কের (৫৯ রানে ৩ উইকেট)।
নিউজিল্যান্ডের আত্মসমর্পণ
৩২৭ রানের লক্ষ্যমাত্রাটা খুব একটা সহজ ছিল না নিউজিল্যান্ডের কাছে। তার ওপর ০ রানের মধ্যে তাদের ২টি উইকেট পড়ে যায়। তার পর সফি ডিভাইন তৃতীয় উইকেটে আমেলিয়া কের (৫৬ বলে ৩৩ রান), চতুর্থ উইকেটে ব্রুক হ্যালিডে (৩৮ বলে ২৮ রান), পঞ্চম উইকেটে ম্যাডি গ্রিন (১৮ বলে ২০ রান) এবং ষষ্ঠ উইকেটে ইজাবেল গেজকে (১৮ বলে ২৮ রান) সঙ্গী করে দলের রান পৌঁছে দেন ২১৮ রানে।
এর পর সপ্তম উইকেটে কার্যত একার চেষ্টায় ১৭ রান যোগ করে ডিভাইন যখন ফিরে যান, তখন দলের স্কোর ২৩৫ রান। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের শেষ ৩ উইকেটে যোগ হয় মাত্র ২ রান। ৪০ বল বাকি থাকতে তারা শেষ হয়ে যায় ২৩৭ রানে। একমাত্র ডিভাইনের (১১২ বলে ১১১ রান) ব্যাট ছাড়া আর কারও ব্যাটে দ্রুত রান আসেনি। ফলে সহজেই তারা হার স্বীকার করে গত বারের চ্যাম্পিয়নের কাছে। অস্ট্রেলিয়ায় পক্ষে বল হাতে সফল সফি মলিনক্স (২৫ রানে ৩ উইকেট) এবং আন্নাবেল সাদারল্যান্ড (২৬ রানে ৩ উইকেট)।