পাকিস্তান: ১৩৫-৮ (মহম্মদ হ্যারিস ৩১, তাসকিন আহমেদ ৩-২৮, রিশাদ হোসেন ২-১৮, মেহেদি হাসান ২-২৮)
বাংলাদেশ: ১২৪-৯ (শামিম হোসেন ৩০, শাহিন শাহ আফ্রিদি ৩-১৭, হ্যারিস রাউফ ৩-৩৩, সাইম আয়ুব ২-১৬)
দুবাই: পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়ে মাত্র ১৩৫ রানে বেঁধে রাখার পরেও হেরে গেল বাংলাদেশ। তাদের ইনিংস শেষ হয়ে গেল ১২৪ রানে। শেষ পর্যন্ত ১১ রানে হেরে গিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের খেলা সুনিশ্চিত করে দিল। এর জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য তিন পাক বোলারের – শাহিন শাহ আফ্রিদি, হ্যারিস রাউফ এবং সাইম আয়ুবের। তাঁদের বোলিং দাপটে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ। শাহিন শাহ আফ্রিদিকে ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ ঘোষণা করা হয়।
সুপার ফোরে আর একটি খেলা বাকি – ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা। আগামী কাল এই দুটি দল মুখোমুখি হবে। কিন্তু এই ম্যাচ নেহাতই নিয়মরক্ষার। ভারত ইতিমধ্যেই ২ ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট পেয়ে ফাইনালে চলে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশকে হারানোর পর পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩ ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট। বাংলাদেশ ৩ ম্যাচ থেকে ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিল। আর শ্রীলঙ্কা আগেই বিদায় নিয়েছে। রবিবার ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ।

‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ শাহিন শাহ আফ্রিদি। ছবি ‘X’ থেকে নেওয়া।
পাক ইনিংসে ধস নামিয়েছিল বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার দুবাই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত সুপার ফোরের ম্যাচে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। শুরুতেই পাকিস্তান বিপর্যয়ে পড়ে। দলের ৪ রানে ফিরে যান অন্যতম ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান। তার পর ঘন ঘন উইকেট পড়তে থাকে। ৪৯ রানের মধ্যে ৫ উইকেট পড়ে যায়। বাংলাদেশি বোলারদের দাপট দেখে মনে হচ্ছিল পাকিস্তান ১০০ রানের গণ্ডি ছুঁতে পারবে না। কিন্তু বাধ সাধেন মহম্মদ হ্যারিস। মূলত তাঁর (২৩ বলে ৩১ রান) এবং কিছুটা মহম্মদ নওয়াজ (১৫ বলে ২৫ রান) ও শাহিন শাহ আফ্রিদির (১৩ বলে ১৯ রান) ব্যাটিংয়ের দৌলতে পাকিস্তান পৌঁছে যায় ৮ উইকেটে ১৩৫ রানে। বোলিং-এ কেরামতি দেখান তাসকিন আহমেদ (২৮ রানে ৩ উইকেট), রিশাদ হোসেন (১৮ রানে ২ উইকেট) এবং মেহেদি হাসান (২৮ রানে ২ উইকেট)।
১১ রান কমে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ
টি ২০ ম্যাচে ১৩৬ রানের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যাওয়া আদৌ কঠিন কাজ নয়। তাই বাংলাদেশের সমর্থকরা ভেবেছিলেন, পাকিস্তানকে হারিয়ে তাঁদের দল এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছে যাবে। কিন্তু বিধি বাম। এত ঘন ঘন উইকেট পড়ছিল যে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ ১০০ রানের আগেই বান্ডিল হয়ে যাবে। ৯৭ রানের মধ্যে ৮ উইকেট পড়ে যায়। নবম উইকেট হারায় ১০১ রানে। শেষ পর্যন্ত আর কোনো উইকেট না হারিয়ে তারা পৌঁছোয় ১২৪ রানে। নবম উইকেটের জুটিতে রিশাদ হোসেন (১১ বলে ১৪ রান) এবং মুস্তাফিজুর রহমান (৪ বলে ৬ রান) অবিচ্ছিন্ন থাকেন। উল্লেখযোগ্য রান করেছেন শামিম হোসেন, ২৫ বলে ৩০ রান। পাকিস্তানের হয়ে বাংলাদেশের ইনিংসে ধস নামান শাহিন শাহ আফ্রিদি (১৭ রানে ৩ উইকেট), হ্যারিস রাউফ (৩৩ রানে ৩ উইকেট) এবং সাইম আয়ুব (১৬ রানে ২ উইকেট)।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপ: ফাইনালে ভারত, ৩ বল বাকি থাকতেই গুঁড়িয়ে গেল বাংলাদেশ
এশিয়া কাপ: পাকিস্তানের ফাইনালে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখলেন নওয়াজ-তালাত
এশিয়া কাপ: অভিষেক-শুভমনের দুর্দান্ত ব্যাটিং, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আবার জয় পেল ভারত
এশিয়া কাপ: হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, মাত্র ১ বল বাকি থাকতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয় পেল বাংলাদেশ