কলকাতা: সুদীপ ঘরামির দ্বিতীয় টানা অর্ধশতক ও অনুষ্টুপ মজুমদারের অপরাজিত ধৈর্যশীল ইনিংসের দৌলতে গুজরাতের বিপক্ষে রনজি ট্রফির গ্রুপ-সি ম্যাচের চতুর্থ দিনে সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছেছে বাংলা।
গুজরাতকে ১৬৭ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলা ৭ উইকেটে ১৭০ রান তোলে, ফলে মোট লিড দাঁড়ায় ২৮২ রানের।
৭ উইকেট ১০৭ রান হাতে নিয়ে তৃতীয় দিনের শুরুতে মাঠে নামে গুজরাত। দলকে ফলো-অন থেকে বাঁচাতে অধিনায়ক মনন হিংরাজিয়া দুর্দান্ত এক অর্ধশতক (অপরাজিত ৮০) করেন। থার্ড ম্যান থেকে লং-অফ পর্যন্ত দারুণ শট খেলে টেল-এন্ডারদের সঙ্গে মিলে ৬০ গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করেন তিনি। ফলে বাংলার লিড যতটা হবে বলে আশা করেছিলেন সমর্থকরা, ততটা হল না।
বাংলার হয়ে শাহবাজ আহমেদ নেন ছয় উইকেট, আর মহম্মদ শামি দখল করেন তিনটি উইকেট।

মহম্মদ শামি দখল করেন তিনটি উইকেট। ছবি সিএবি-র ফেসবুক থেকে নেওয়া।
ফিল্ডিং করার সময় বাঁ হাঁটুতে চোটে পেয়ে সুদীপ চট্টোপাধ্যায় এ দিন খেলতে নামেননি। তাঁর জায়গায় নামেন কাজি সাইফি। ওপেনার হিসেবে দায়িত্ব নেন সুদীপ ঘরামি ও অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। দু’জনে মিলে যোগ করেন ৫৫ রান।
প্রথম ইনিংসে চার উইকেট পাওয়া বাঁহাতি স্পিনার সিদ্ধার্থ দেশাই দ্বিতীয় ইনিংসেও দারুণ বোলিং করে ১৮ ওভারে চারটি উইকেট দখল করেন। তাঁর নিখুঁত ফ্লাইট ও টার্নে বিভ্রান্ত হন অভিমন্যু ও সাইফি—একজন মিড-উইকেটে ক্যাচ দেন, অন্যজন এগিয়ে এসে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন। পরে তিনি সমন্ত গুপ্ত ও শাহবাজকেও ফেরান।
বাঁহাতি পেসার অর্জন নাগওয়াসওয়ালা রিভার্স সুইং কাজে লাগিয়ে ঘরামি ও অভিষেক পোড়েলকে ফেরান।
ধীরগতির পিচে যেখানে বল নিচু হচ্ছিল, সেখানে ঘরামি (৫৪, ৯৩ বল, ৯টি চার) কাট ও ফ্লিকে বেশির ভাগ রান তোলেন। তিনি অনুষ্টুপের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি গড়েন, তার পর এলবিডব্লিউ হন।
অনুষ্টুপ মজুমদার (অপরাজিত ৪৪, ৮১ বল, ৭টি চার) একপ্রান্তে দৃঢ়ভাবে টিকে থেকে বাংলার লিড আরও বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলা ম্যাচের শেষ দিনে জয়ের সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছে।
আরও পড়ুন
শাহবাজের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন, রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে গুজরাতকে চাপে ফেলল বাংলা


