আফগানিস্তান: ২৯১/৫ ইব্রাহিম ১২৯, রশিদ ৩৫ রহমত ৩০ হ্যাজলউড ২/৩৯, ম্যাক্সওয়েল ১/৫৫
অস্ট্রেলিয়া: ২৯৩/৭ ম্যাক্সওয়েল ২১০*, মার্শ ২৪, ওয়ার্নার ১৮ রশিদ ২/৪৪, নবীন ২/৪৭, ওমরজাই ২/৫৭
৯১ রানে ৭ উইকেট থেকে ২৯৩ রানে ৭ উইকেট আর ম্যাচ জয়। আফগানিস্তানের কাছে হারতে বসাঅস্ট্রেলিয়াকে টেনে তুললেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কয়েকবার আউট হওয়ার হাত থেকে বাঁচলেও এক পায়ে যেভাবে ম্যাচ জেতালেন তা বিশ্বকাপের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২৯১ রান করে আফগানিস্তান। সেঞ্চুরি করেন ইব্রাহিম জাদরান। রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ৯১ রানে ৭ উইকেট। সেই সময় তাবড় তাবড় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও ভাবতে পারেননি এই ম্যাচ আফগানিস্তান হারতে পারে। সেখান থেকে লড়াটা শুরু। আফগান বোলারদের দাপট থামিয়ে একেরপর এক শট মাঠের বাইরে পাঠাতে থাকেন ম্যাক্সওয়েল।
কিন্তু প্যাট কামিন্সকে সঙ্গে নিয়ে অসাধ্য সাধন করার লড়াই শুরু করেন ম্যাক্সি। চাপের মুহুর্তে দমে না গিয়ে অ্যাটাক ইজ দ্যা বেস্ট ডিফেন্স ফর্মুলায় হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন ম্যাক্সওয়েল। তারপর থেকে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম সাক্ষী থাকল এক রূপকথার ইনিংসের। যা ক্রিকেট ইতিহাসে চির স্মরণীয় হয়ে থেকে যাবে।
এদিন ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন ম্যাক্সওয়েল। তখন শোচনীয় অবস্থা অস্ট্রেলিয়ার। তাঁর নামার পর ফিরে গেলেন মার্কোস স্টোইনিস। ব্যাটিংয়ে অজিদের শেষ ভরসা। ম্যাক্সওয়েলকে ফেরাতে পারলেই আফগানিস্তানের কেল্লাফতে। ম্যাক্সওয়েলের ইনিংসে ছিল ২১টা চার ও ১০টা ছয়। ১২৮ বলে করলেন ২০১ রান।
কার্যত হারের মুখ থেকে ম্যাচের রং-ই বদলে দিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। অষ্টম উইকেটে দুই তারকা ২০২ রানের পার্টনারশিপ করে যেমন নজির গড়লেন, তেমনই দলকে জিতিয়ে পৌঁছে দিলেন সেমিফাইনালে। আফগানিস্তানের মুখের থেকে কার্যত গ্রাস ছিনিয়ে নিলেন ম্যাক্সি। শুধু দ্বিশতরান করলেন তা তো নয়, বরং দায়িত্ব নিয়ে আফগানিস্তানকে হারিয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি। লিখলেন রুপকথার এক গল্প।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩: চরিত অসলঙ্কার সেঞ্চুরি কাজে লাগল না,, শ্রীলঙ্কা ৩ উইকেটে হারল বাংলাদেশের কাছে