পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কোনও সফর হবে না। সাফ জানিয়ে দিল আইসিসি।
গত বৃহস্পতিবারই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ঘোষণা করেছিল যে, ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ট্রফি পাকিস্তান জুড়ে একটি বিশেষ ট্যুরে যাবে। এই ট্যুরে স্কার্ডু, মুর্রি এবং মুজাফফরাবাদসহ বেশ কয়েকটি শহরে ট্রফি প্রদর্শন করার পরিকল্পনা ছিল। তবে, বিসিসিআই (ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড) এই সিদ্ধান্তে তীব্র আপত্তি জানায়, যার প্রেক্ষিতে আইসিসি পিসিবিকে এই শহরগুলিতে ট্যুর বাতিলের নির্দেশ দেয়।
পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের এলাকাগুলিকে বিতর্কিত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সেখানকার ট্যুর পরিকল্পনা নিয়ে বিসিসিআই কড়া আপত্তি তোলে। বিসিসিআই-এর আপত্তি জানানোর পর আইসিসি দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
পিসিবি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, আইসিসি তাদের সিদ্ধান্তটি পিসিবিকে সরাসরি জানিয়েছে। পরবর্তীতে পিসিবি এই তথ্য পাকিস্তানের সরকারের কাছে পাঠিয়েছে। সেখান থেকে বার্তা আসার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হবে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, ভারত ও পাকিস্তানের ক্রীড়া সম্পর্কে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে সাম্প্রতিক বেশ কিছু ইস্যু। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় হল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারতের অনাগ্রহ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে যে তারা পাকিস্তানে নিজেদের ওয়ানডে দল পাঠাবে না। বিসিসিআই একটি “হাইব্রিড” ফর্ম্যাটের প্রস্তাব দিয়েছে, তবে পিসিবি এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মূল আয়োজক পাকিস্তান। এই টুর্নামেন্টের জন্য পাকিস্তানে তিনটি ভেন্যুতে খেলা হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে বিসিসিআই তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়ে বলেছে যে, ভারতের জাতীয় দল পাকিস্তানে যাবে না। ভারতের সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এমন সিদ্ধান্তের পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এবং আইসিসি-কে বিকল্প পরিকল্পনা করতে হবে। বলে রাখা ভালো, ২০২৩ সালের এশিয়া কাপও একটি “হাইব্রিড মডেল”-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা যৌথ ভাবে আয়োজন করেছিল। কারণ বিসিসিআই তখনও পাকিস্তানে দল পাঠাতে রাজি ছিল না।