অস্ট্রেলিয়া: ২৬৪ (৪৯.৩ ওভার) (স্টিভ স্মিথ ৭৩, অ্যালেক্স ক্যারি ৬১, মহম্মদ শামি ৩-৪৮, রবীন্দ্র জাদেজা ২-৪০)
ভারত: ২৬৭-৬ (৪৮.১ ওভার) (বিরাট কোহলি ৮৪, শ্রেয়স আয়ার ৪৫, নাথান এলিস ২-৪৯, অ্যাডাম জাম্পা ২-৬০)
দুবাই: অহমদাবাদে গত বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গিয়েছিল ভারত। এ বার দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে সেই হারের বদলা নিল রোহিত শর্মার দল। আর এই জয়ের মূলে রয়েছে বিরাট কোহলির অনবদ্য ব্যাটিং। তাঁর পাশে ছিলেন শ্রেয়স আয়ার আর লোকেশ রাহুল। তবে তার আগে বলে কেরামতি দেখান মহম্মদ শামি (৪৮ রানে ৩ উইকেট), রবীন্দ্র জাদেজা (৪০ রানে ২ উইকেট) আর বরুণ চক্রবর্তী (৪৯ রানে ২ উইকেট)।
মঙ্গলবার দুবাইয়ের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট নেয় অস্ট্রেলিয়া। নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৩ বল আগেই ২৬৪ রানে শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস। ভারত জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় ১১ বল বাকি থাকতেই। ভারত জিতে যায় ৪ উইকেটে। ৯৮ বলে ৮৪ রান করে এ দিন ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হন বিরাট কোহলি। এই নিয়ে টানা তিন বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পৌঁছে ইতিহাস গড়ল ভারত।

জয়ের পরে এল কে রাহুল এবং রবীন্দ্র জাদেজা। ছবি ICC ‘X’ থেকে নেওয়া।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দলের ৪ রানের মাথাতেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান কুপার কোনোলি। মহম্মদ শামির বলে উইকেটকিপার রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন কোনোলি। এর পর পরিস্থিতি সামাল দেন ট্র্যাভিস হেড, অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ, মার্নাস লাবুশানে। ৩৬.৪ ওভারে দলের রান পৌঁছোয় ৫ উইকেটে ১৯৮ রান। স্মিথ ৯৬ বলে ৭৩ রান করেন। দলের স্কোরে ৬৬ রান যোগ হতেই বাকি ৫ উইকেট পড়ে যায়। অ্যালেক্স ক্যারি ৫৭ বলে ৬১ রান করে রান আউট হন।
জয়ের জন্য রান তাড়া করতে গিয়ে ৪৩ রানে ২ উইকেট হারায় ভারত। শুভমন গিল ৮ রানে এবং রোহিত শর্মা ২৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার পর হাল ধরেন বিরাট কোহলি এবং শ্রেয়স আয়ার। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ৯১ রান। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে ডোয়ারশুইসের বলে বোল্ড হয়ে শ্রেয়স (৬২ বলে ৪৫ রান) ফিরে যেতে কোহলির সঙ্গী হন অক্ষর পটেল। ঝড়ের গতিতে রান তুলে অক্ষর (৩০ বলে ২৭ রান) আউট হতেই কোহলির সঙ্গে দলের হাল ধরেন কে এল রাহুল।

কোহলিকে অভিনন্দন স্টিভ স্মিথের। ছবি ICC ‘X’ থেকে নেওয়া।
কোহলি-রাহুল জুটি দলের রান পৌঁছে দেন ২২৫-এ। অ্যাডাম জাম্পার বলে ডোয়ারশুইসকে ক্যাচ দিয়ে কোহলি বিদায় নেন। বাকি কাজটা প্রায় সেরে ফেলেন কে এল রাহুল আর হার্দিক পাণ্ড্য। ২৪ বলে ২৮ রান করে পাণ্ড্য যখন বিদায় নেন জয় তখন ৬ রান দূরে। রাহুলের সঙ্গী হন রবীন্দ্র জাদেজা। নাথান এলিসের ওভারের শেষ বলে ২ রান নেন রবীন্দ্র। এর পর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের প্রথম বলে ৬ মেরে আসল কাজটা সমাধা করেন রাহুল। ৩৪ বলে ৪২ করে নট আউট থাকেন তিনি।