ইংল্যান্ড: ৩০৪ (৪৯.৫ ওভার) (জো রুট ৬৯, বেন ডাকেট ৬৫, রবীন্দ্র জাদেজা ৩-৩৫)
ভারত: ৩০৮-৬ (৪৪.৩ ওভার) (রোহিত শর্মা ১১৯, শুবমন গিল ৬০, জেমি ওভারটন ২-২৭)
কটক: সমালোচকদের চুপ করিয়ে দিলেন রোহিত শর্মা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনি ফর্মে থেকে ঠিকঠাক নেতৃত্ব দিতে পারবেন কি না সে নিয়ে যাঁরা সন্দেহ প্রকাশ করছিলেন তাঁদের মুখ বন্ধ করিয়ে দিলেন রোহিত। রবিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে রোহিত শুধু ফর্মেই ফিরলেন না, এক দিনের ম্যাচে তাঁর ৩২তম শতরানও করে ফেললেন। তাঁর, শুবমন গিল, শ্রেয়স আইয়ার এবং অক্ষর পটেলের ব্যাটিংয়ের জোরে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজটাও দখল করে নিল ভারত। স্বাভাবিক ভাবেই এ দিন ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হয়েছেন রোহিত শর্মা।
এ দিন কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং নেয় ইংল্যান্ড। জো রুট, বেন ডাকেট এবং লিয়াম লিভিংস্টোনের ব্যাটিংয়ের সুবাদে ইংল্যান্ড করে ৩০৪ রান। এক বল বাকি থাকতেই তাদের ইনিংস শেষ হয়ে যায়। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে ওপেনিং জুটিতে অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শুবমন গিল যে খেলা দেখালেন তাতেই ভারতের জয়ের ইঙ্গিত ছিল। এর পর শ্রেয়স আইয়ার এবং অক্ষর পটেল বাকি কাজটা সমাধা করে দেন। ৩৩ বল বাকি থাকতেই ভারত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায়। ৪ উইকেটে জিতে গেল তারা এবং তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে থাকল ২-০ ফলে।
ইংল্যান্ডের ইনিংসে তিন জন রান আউট
ইংল্যান্ডের শুরুটা কিন্তু ভালোই হয়েছিল। ফিল সল্ট এবং বেন ডাকেট তাঁদের ওপেনিং জুটিতে ১০.৫ ওভারে ৮১ রান যোগ করেন। ২৯ বলে ২৬ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর বলে রবীন্দ্র জাদেজাকে ক্যাচ দিয়ে সল্ট প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। দলের ১০২ রানে আউট হন ডাকেট (৫৬ বলে ৬৫ রান)। ডাকেটকে নেন জাদেজা। এর পর হ্যারি ব্রুককে সঙ্গী করে হাল ধরেন জো রুট। তাঁরা দলের রান পৌঁছে দেন ১৬৮-তে। হর্ষিত রানার শিকার হন হ্যারি ব্রুক (৫২ বলে ৩১ রান)।

সহ-অধিনায়ক শুবমন অর্ধশত রান করার পরে অধিনায়কের অভিনন্দন। ছবি BCCI ‘X’ থেকে নেওয়া।
জো রুট আর অধিনায়ক জোস বাটলার দলের রান টেনে নিয়ে যান ২১৯-এ। বাটলারকে (৩৫ বলে ৩৪ রান) তুলে নেন হার্দিক পাণ্ড্য। ইংল্যান্ড বাকি ১১.১ ওভারে তুলল ৮৫ রান। কিন্তু হারাল ৬টা উইকেট। এবং এই ৬টা উইকেটের মধ্যে তিন জনই রান আউট। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে রবীন্দ্র জাদেজা ৩৫ রানে ৩টি উইকেট দখল করেন। বাকি ৪টি উইকেট ভাগাভাগি করে নেন মহম্মদ শামি, হর্ষিত রানা, হার্দিক পাণ্ড্য এবং বরুণ চক্রবর্তী।
রোহিতের ১১৯-এ ৭টা ছয়, ১২টা চার
দুর্দান্ত শুরু করল ভারত। আর এর মূলে রয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অধিনায়ককে স্বচ্ছন্দ গতিতে খেলতে দেখে অন্য ওপেনার শুবমন গিলও তাঁর স্বাভাবিক ছন্দে খেলতে থাকেন। ফলে ভারত ওপেনিং জুটিতে ১৬.৪ ওভারে ১৩৬ রান করে। ৫২ বলে ৬০ রান করে জেমি ওভারটনের বলে শুবমন বোল্ড হতে রোহিতের সঙ্গী হন বিরাট কোহলি। দর্শকদের আশা ছিল রোহিতের মতো এ দিন হয়তো কোহলিরও দুঃসময়ের অবসান হবে। কিন্তু তা হল না। ৮ বলে ৫ রান করে আদিল রশিদের বলে ফিল সল্টকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান কোহলি।
এর পর অধিনায়কের সঙ্গী হয়ে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন শ্রেয়স আইয়ার। ইতিমধ্যে ২৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আদিল রশিদকে চার মেরে নিজের ৩২তম শতরান পূর্ণ করেন রোহিত। রোহিত ও শ্রেয়স রান পৌঁছে দেন ২২০ রানে। ৯০ বলে ১১৯ রান করে রোহিত লিভিংস্টোনের শিকার হন। তাঁর ১১৯ রানে ছিল ৭টা ছয়, ১২টা চার। এর পর শ্রেয়স আইয়ার (৪৭ বলে ৪৪ রান) এবং অক্ষর পটেলের (৪৩ বলে ৪১ রান নট আউট) ব্যাটিং-এ ভর করে ভারত পৌঁছে যায় জয়ে।