ভারত: ২৪৯-৯ (শ্রেয়স আইয়ার ৭৯, হার্দিক পাণ্ড্য ৪৫, ম্যাট হেনরি ৫-৪২)
নিউজিল্যান্ড: ২০৫ (৪৫.৩ ওভার) (কেন উইলিয়ামসন ৮১, বরুণ চক্রবর্তী ৫-৪২, কুলদীপ যাদব ২-৫৬)
শেষমেশ ভারতের রানের ৪৪ রান আগেই থেমে গেল নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। এর ফলে শেষ চারে রোহিতবাহিনী অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে। মঙ্গলবার এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এই ম্যাচের ফল বুঝিয়ে দেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল কোথায় হবে – দুবাইয়ে হবে না কি পাকিস্তানে।
পরিস্থিতি সামলালেন শ্রেয়স-অক্ষর জুটি, হার্দিক
রবিবার দুবাইয়ের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচ টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় কিউয়িরা। ইতিহাস বলে আইসিসি টুর্নামেন্টের গুরুত্বপুর্ণ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড বরাবর জোরদার টক্কর দেয় ভারতকে। এ দিনও তার অন্যথা হল না। ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখাতে শুরু করেন কিউয়ি পেসাররা।
বাংলাদেশ বা পাকিস্তানকে পেয়ে বড়ো রান করা শুভমন গিল আর বিরাট কোহলি হোন, বা ওই দুই ম্যাচে ঝোড়ো স্টার্ট দেওয়া অধিনায়ক রোহিত হন, এ দিন তিন জনই ব্যর্থ। স্কোরবোর্ডে ৩০ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই তিন উইকেট খুইয়ে ফেলে ভারত।
কঠিন পরিস্থিতিতে ভারতের ইনিংসের হাল ধরেন শ্রেয়স আইয়ার এবং অক্ষর পটেল। দু’জনের জুটি ভারতকে নতুন কোনো বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়ে দেয়। যথেষ্ট সাবলীল ছিলেন শ্রেয়স। কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাট করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে তিনি সেটা সাফল্যের সঙ্গে উতরে গিয়েছেন। তবে নিজের রানকে যদি শতরানের আরও কাছাকাছি বা শতরানেই নিয়ে যেতে পারতেন, ভারতের রানটা হয়তো আরও একটু বেশি হত। যদিও নীচের দিকে নেমে হার্দিক পাণ্ড্য ঝোড়ো ইনিংস খেলে দিয়ে ভারতের রানকে মোটামুটি সম্মানজনক একটা জায়গায় নিয়ে যান।
‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ বরুণ
ভারতের দেওয়া রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই রাচিন রবীন্দ্রকে হারায় নিউজিল্যান্ড। তার উইকেটটি তুলে নিয়ে ভারতকে অক্সিজেন দেন হার্দিক। চার স্পিনার নিয়ে খেলতে নামার কারণে এ দিন নতুন বলে শামির সঙ্গ দেন হার্দিক।
তিন নাম্বারে নামা কেন উইলিয়ামসন উইকেটে জমে গিয়েছিলেন। তবে নিউজিল্যান্ডকে দেখে কখনওই মনে হয়নি যে তারা জেতার জন্য লড়ছে। মানে দ্রুত রান করার কোনো তাগিদ কিউয়িদের মধ্যে দেখা যায়নি। যদিও এর জন্য কৃতিত্ব দিতেই হবে ভারতের চার স্পিনারকে।
দুবাইয়ের উইকেটে চরিত্র বুঝে গিয়ে এ দিন বাড়তি একজন স্পিনার নামায় ভারত। সেই বাড়তি স্পিনার তথা সিভি বরুণই যে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেবেন, সেটা কেই বা আন্দাজ করেছিল। বরুণ এবং বাকি স্পিনারদের খেলতে হিমশিম খেতে হয় নিউজিল্যান্ডকে। উইলিয়ামসনের অনবদ্য ৮১ রানও নিউজিল্যান্ডকে কোনো সাহায্য করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৩.৩ ওভার বাকি থাকতেই জয় পেয়ে যায় ভারত। ৪২ রান দিয়ে ৫ উইকেট দখল করে ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হন বরুণ।