পাকিস্তান: ২৪১ (৪৯.৪ ওভার) (সাউদ শকীল ৬২, মহম্মদ রিজওয়ান ৪৬, কুলদীপ যাদব ৩-৪০, হার্দিক পাণ্ড্য ২-৩১)
ভারত: ২৪৪-৪ (৪২.৩ ওভার) (বিরাট কোহলি ১০০ নট আউট, শ্রেয়স আইয়ার ৫৬, শাহীন শাহ আফ্রিদি ২-৭৪, আবরার আহমেদ ১-২৮)
দুবাই: স্বমহিমায় বিরাট কোহলি। আর সেই স্বমহিমায় ফিরলেন পাকিস্তানেরই বিরুদ্ধে। এক দিনের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাট কেমন যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। এ দিনও তার ব্যত্যয় হল না। ২০১২ এশিয়া কাপে ১৮৩। ২০১৫ এক দিনের বিশ্বকাপে ১০৭। ২০২৩ এশিয়া কাপে ১২২। রবিবার করলেন ১১১ বলে অপরাজিত ১০০। পাকিস্তানের ২৪১ রানের জবাবে ভারত করল ৪ উইকেটে ২৪৪ রান। স্বাভাবিক ভাবেই ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন’ বিরাট।
টস হারায় রেকর্ড
রবিবার দুবাইয়ের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত গ্রুপ ‘এ’-র ম্যাচে আবার টসে হারল ভারত। এই নিয়ে এক দিনের ক্রিকেটে টানা ১২টি ম্যাচে টসে হারল ভারত। এত দিন টানা ১১টি ম্যাচে টসে হারার নজির ছিল নেদারল্যান্ডসের। তা টপকে গেল ভারত। যাই হোক, টসে হেরে অবশ্য রোহিতদের ক্ষতি কিছু হয়নি। পাকিস্তান ব্যাট নিয়েছে এবং আড়াইশোরও গণ্ডি পেরোতে পারেনি। অত্যন্ত ধীর গতিতে খেলা এবং পাশাপাশি তৃতীয় উইকেটের জুটি ছাড়া নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়া কাল করল পাকিস্তানের। লড়াই করার মতো কোনো লক্ষ্যমাত্রা ভারতের সামনে রাখতে পারল না তারা। সাউদ শকীল (৭৬ বলে ৬২ রান) ও অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ানের (৭৭ বলে ৪৬ রান) জুটির সুবাদে তৃতীয় উইকেটে পাকিস্তান যোগ করে ১০৪ রান।

ভারতের উচ্ছ্বাস। ছবি ICC ‘X’ থেকে নেওয়া।
শেষরক্ষা হল না পাকিস্তানের
শুরুটা মন্দ হয়নি পাকিস্তানের। কিন্তু হতাশ করলেন বাবর আজম (২৬ বলে ২৩ রান)। হার্দিক পাণ্ড্যর বলে উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে বাবর যখন বিদায় নিলেন, তখন স্কোরবোর্ডে ৪১ রান। ৬ রান যোগ হতে না হতেই চলে গেলেন ইমাম-উল-হক (২৬ বলে ১০ রান) রান আউট হয়ে। এর পর শকীল-রিজওয়ান জুটি ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল। কিন্তু দলের ১৫১ রানের মাথায় রিজওয়ান ফিরে যেতেই পাকিস্তানের উইকেট পতন শুরু হয়ে যায়। মাত্র ৯০ রানের মধ্যে পড়ে যায় সাত সাতটি উইকেট। কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন খুশদিল শাহ (৩৯ বলে ৩৮ রান)। কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। পাক উইকেটগুলো ভাগ করে নেন ভারতের প্রায় সব বোলার। ব্যতিক্রমী শুধু মহম্মদ শামি। এ দিন তিনি ৮ ওভারে ৪৩ রান দিলেন। ভারতের সবচেয়ে সফল বোলার স্পিনার কুলদীপ যাদব (৪০ রান দিয়ে ৩ উইকেট)।

শতরানে পৌঁছে। ছবি ICC ‘X’ থেকে নেওয়া।
৭.৩ ওভার বাকি থাকতেই জয়
৭.৩ ওভার বাকি থাকতেই ভারত পৌঁছে গেল জয়ের লক্ষ্যমাত্রায়। সৌজন্যে বিরাট কোহলির অপরাজিত সেঞ্চুরি (১১১ বলে ১০০ রান)। তাঁকে সঙ্গ দিলেন শুবমন গিল (৫২ বলে ৪৬ রান) এবং শ্রেয়স আইয়ার (৬৭ বলে ৫৬ রান)। দলের ৩১ রানের মাথায় অধিনায়ক রোহিত শর্মা (১৫ বলে ২০ রান) আফ্রিদির বলে আউট হয়ে যান। ভারতের সমর্থকরা একটু চিন্তায় পড়েন। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে বিরাট-শুবমন জুটি (৬৯ রান) এবং তৃতীয় উইকেটে বিরাট-শ্রেয়স জুটির (১১৪ রান) দৌলতে কেল্লা ফতে ভারতের। ছয় উইকেটে জেতে ভারত।