শ্রীলঙ্কা: ১৩৩-৮ (কামিন্দু মেন্ডিস ৫০, শাহিন শাহ আফ্রিদি ৩-২৮, হুসেন তালাত ২-১৮)
পাকিস্তান: ১৩৮-৫ (মহম্মদ নওয়াজ ৩৮ নট আউট, হুসেন তালাত ৩২ নট আউট, মহিশ ঠিকসানা ২-২৪, ওয়ানিন্দু হসারঙ্গা ২-২৭)
আবু ধাবি: ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে অবিচ্ছেদ্য থেকে দেশকে জয়ে পৌঁছে দিলেন মহম্মদ নওয়াজ ও হুসেন তালাত। এই জয়ের ফলে এশিয়া কাপে ফাইনালে পৌঁছোনোর আশা বজায় থাকল পাকিস্তানের। সুপার ফোরের খেলায় বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান, দুটি দলই ১টি করে ম্যাচ জিতেছে। বৃহস্পতিবার তারা মুখোমুখি হবে। ওই ম্যাচে যে জিতবে সেই দল ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে খেলবে। আর পর পর ২টি ম্যাচে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিল শ্রীলঙ্কা।
মঙ্গলবার আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে পাকিস্তান ব্যাট করতে পাঠায় শ্রীলঙ্কাকে। শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ১৩৩ রানে। ৮ উইকেট হারিয়ে তারা ওই রান তোলে। জবাবে ১২ বল বাকি থাকতেই জয় কব্জা করে পাকিস্তান। তারা তোলে ৫ উইকেটে ১৩৮ রান। জিতে যায় ৫ উইকেটে। ব্যাটিং ও বোলিং-এ সমান পারদর্শিতা দেখিয়ে ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হন হুসেন তালাত।
লড়াই করলেন একমাত্র কামিন্দু মেন্ডিস
শ্রীলঙ্কার একমাত্র কামিন্দু মেন্ডিস ছাড়া কেউই পাক বোলারদের বিরুদ্ধে তেমন লড়াই চালিয়ে যেতে পারেননি। কামিন্দু ছাড়া আর মাত্র চার জন ব্যাটার দুই অঙ্কের রানে পৌঁছেছিলেন। এঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ হল চরিত অসালঙ্কার ২০ রান। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে পাক বোলারদের কেমন মোকাবিলা করেছেন দ্বীপরাষ্ট্রের ব্যাটাররা। উইকেট পড়েছে ঘন ঘন। দলের ১ রানে ওপেনার কুশল মেন্ডিস কিছু রান না করেই ফিরে যান। এর পর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে শ্রীলঙ্কার।

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে আশা জিইয়ে রাখল পাকিস্তাম। ছবি ICC ‘X’ থেকে নেওয়া।
দলের ৪৩ রানে তৃতীয় উইকেট পড়তেই ব্যাট হাতে নামেন কামিন্দু মেন্ডিস। একপ্রান্তে তিনি খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন আর অন্যপ্রান্তে শ্রীলঙ্কার উইকেট পড়তে থাকে। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে এলবিডব্লিউ আউট হয়ে কামিন্দু (৪৪ বলে ৫০ রান) যখন প্যাভিলিয়নে ফেরেন তখন দলের স্কোর ৭ উইকেটে ১২৩ রান। হাতে আর মাত্র ৮টি বল। শেষ ৮ বলে আরও ১০ রান ওঠে এবং আরও একটি উইকেটের পতন হয়। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে চরিত অসালঙ্কার দল করে ৮ উইকেটে ১৩৩ রান। শাহিন শাহ আফ্রিদি ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট এবং হুসেন তালাত ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট দখল করেন।
মাত্র ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল পাকিস্তান
১৩৩ রান জয়ের পক্ষে খুব একটা কঠিন বাধা নয়। আর পাকিস্তান এমন ভাবে খেলা শুরু করে যাতে মনে হয়েছিল খুব সহজেই তারা জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। ৫.৩ ওভারে তারা পৌঁছে যায় ৪৫ রানে বিনা উইকেটে। জয়ের জন্য তখন আর দরকার ৮৯ রান, হাতে ১০ উইকেট এবং ১৪.৩ ওভার তথা ৮৭টি বল। অর্থাৎ গড়ে ওভারপ্রতি ৬-৭ রান করলেই জয় করায়ত্ত হয়ে যাবে পাকিস্তানের।
এই সময়ে হঠাৎই খেলার মোড় নিজেদের দিকে কিছুটা ঘুরিয়ে দিতে কিছুটা সমর্থ হন শ্রীলঙ্কার বোলাররা, বিশেষ করে মহিশ ঠিকসানা আর ওয়ানিন্দু হসারঙ্গা। মাত্র ৩৫ রানের মধ্যে ৫টি উইকেট পড়ে যায় পাকিস্তানের। শ্রীলঙ্কার সমর্থকদের মধ্যে আশার আলো জেগে ওঠে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই আশার আলো নিষ্প্রভ করে দেন ষষ্ঠ উইকেটের দুই ব্যাটার মহম্মদ নওয়াজ (২৪ বলে ৩৮ নট আউট) এবং হুসেন তালাত (৩০ বলে ৩২ নট আউট)। তাঁরা অবিচ্ছিন্ন থেকে দলের স্কোরে যোগ করেন ৫৮ রান। আর এভাবেই গুরুত্বপূর্ণ জয় হাসিল করে নেয় পাকিস্তান।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপ: অভিষেক-শুভমনের দুর্দান্ত ব্যাটিং, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আবার জয় পেল ভারত
এশিয়া কাপ: হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, মাত্র ১ বল বাকি থাকতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয় পেল বাংলাদেশ