উত্তরাখণ্ড: ২১৩, ২৬৫ (পি চোপরা ৮২, কুনাল চান্দেলা ৭২, মহম্মদ শামি ৪-৩৮, ঈশান পোড়েল ২-৬৩)
বাংলা: ৩২৩, ১৫৬-২ (অভিমন্যু ঈশ্বরণ ৭১ নট আউট, সুদীপ ঘরামি ৪৬, আর কুমার ১-২০)
নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স তাঁর। সেই সুবাদে ভারতীয় দলে নিয়মিত ডাক পান। কিন্তু প্রথম একাদশে কিছুতেই তাঁর জায়গা হয় না। রিজার্ভ বেঞ্চেই বসে থাকেন। আর দ্বিতীয়জন ভারতীয় দলের কার্যত সর্বশ্রেষ্ঠ পেসার হয়েও চোট-আঘাতের জন্য দীর্ঘদিন টিমের বাইরে। চোট-আঘাতমুক্ত হয়েছেন বেশ কিছু দিন হল, তবু জাতীয় দলে ডাক পাচ্ছেন না। প্রথমজন অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও দ্বিতীয়জন মহম্মদ শামি। সেই অভিমন্যুর ব্যাটিং এবং শামির বোলিংয়ের সুবাদে বাংলা রনজি ট্রফির এলিট ম্যাচে উত্তরাখণ্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে দিল।
শনিবার ইডেনে রনজি ম্যাচের চতুর্থ দিনে উত্তরাখণ্ড ২ উইকেটে ১৬৫ রান হাতে নিয়ে ব্যাট করতে নামে। কিন্তু বাকি ৮ উইকেটে মাত্র ১০০ রান যোগ করে তারা। ২৬৫ রানে গুটিয়ে যায় উত্তরাখণ্ড। জয়ের জন্য বাংলার দরকার ছিল ১৫৫ রান। মাত্র ২ উইকেট খুইয়ে বাংলা জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। অভিমন্যুর অপরাজিত ৭১ এবং সুদীপ ঘরামির ৪৬ রানের সুবাদে বাংলা করে ২ উইকেটে ১৫৬ রান। বাংলা জিতল ৮ উইকেটে।
প্রথম ইনিংসে উত্তরাখণ্ড ২১৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। একমাত্র সফল ব্যাটার লালওয়ানি করেন ৭১ রান। বাংলার সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল ৫৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট দখল করেন। শামি ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট এবং পোড়েল ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান।
জবাবে বাংলা প্রথম ইনিংসে ১১০ রানের লিড পায়। এর মূলে রয়েছে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের ৯৮ রান এবং সুমন্ত গুপ্তের ৮২ রান। অভিমন্যু ঈশ্ববণ শূন্য রানে ফিরে গিয়েছিলেন।
তৃতীয় দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলার সমর্থকদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল উত্তরাখণ্ড। অন্যতম ওপেনার এ সুধা দলের ১ রানে ফিরে গেলেও আর-এক ওপেনার পি চোপরা এবং তিন নম্বর ব্যাটার কে চান্দেলার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে দিনের শেষে উত্তরাখণ্ড করে ২ উইকেটে ১৬৫ রান।
কিন্তু চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হতে ম্যাচের মোড় পুরো ঘুরিয়ে দিলেন বাংলার বোলাররা, বিশেষ করে শামি, পোড়েল এবং আকাশদীপ। উত্তরাখণ্ড গুটিয়ে গেল ২৬৫ রানে। প্রথম ইনিংসে বাংলা এগিয়েছিল ১১০ রানে। সুতরাং জয়ের জন্য বাংলার দরকার ছিল ১৫৫ রান।
প্রথম ইনিংসে কিছু করতে না পারার খেদ নিশ্চয় ছিল অভিমন্যুর। সেই খেদ তিনি মেটালেন দ্বিতীয় ইনিংসে। দলের ৫১ রানে অন্যতম ওপেনার সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ১৬ রানে ফিরে গেলে অভিমন্যুর সঙ্গী হন সুদীপ ঘরামি। দু’জনে রান নিয়ে গেলেন ১২৭-এ। সুদীপ ঘরামি আউট হওয়ার পর অভিমন্যুর সঙ্গে জুটি বাঁধেন বিশাল ভাটি। দু’জনে বাংলার কাঙ্খিত জয় এনে দেন। অভিমন্যু ৭১ রানে আর বিশাল ১৬ রানে নট আউট থাকেন। দুটি ইনিংস মিলিয়ে ৭টি উইকেট দখল করার সুবাদে ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হন মহম্মদ শামি।